মাহমুদুল হাসান জয় ফেরার পর খানিকক্ষণের জন্য থিতু হয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। দলীয় ২০ রানে সাদমান ইসলাম আউট হওয়ার পর মড়ক লাগে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপে। ৬৫ রান সংগ্রহ করতে গিয়েই ৬ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে গেছে দেশের ক্রিকেটাররা।
দলীয় ১ রানে শূন্য রানে ফেরেন অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয়। পরে সাজঘরের পথ ধরেন সাদমান ইসলাম, মমিনুল হক (১), মুশফিকুর রহিম (৫) ও লিটন দাস (৬)। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রানের পুঁজি গড়েছে বাংলাদেশ। দুরন্ত ব্যাটিংয়ের আভাস দিয়েও বেশিদূর আগাতে পারলেন না নাজমুল হাসান শান্ত। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩০ রান করে ক্রিজ থেকে বিদায় নিয়েছেন টপ-অর্ডার এ ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ছয়টি উইকেটই নিয়েছেন পাকিস্তানের সাজিদ খান।
এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে পাকিস্তান।
মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফাওয়াদ আলম ফিফটি হাঁকিয়ে দুজনেই অপরাজিত থেকে যান। ৯৪ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ উইকেট ৫৩* করেন রিজওয়ান। আর ৯৬ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ফাওয়াদের ব্যাট থেকে আসে ৫০* রান।
চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতেই সকালে দাপুটে বোলিং শুরু করেন এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। দুজনে মিলে বিদায় করেন আজহার আলী ও বাবর আজমকে। পরে আর কোনো উইকেটের দেখা পাননি টাইগাররা।
দুরন্ত বোলিংয়ে চতুর্থ দিনের শুরুতে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপে প্রথম আঘাতটা হানেন এবাদত হোসেন। আজহার আলীকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন তিনি। ১৪৪ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫৬ রান করে এবাদতের বলে উইকেটের পিছনে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দী হন আজহার।
পরে বাবর আজমকে সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত করেছেন খালেদ আহমেদ। ১২৬ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৭৬ রানে খালেদের এলবিডব্লিউ'র শিকার হয়েছেন পাকিস্তান ক্যাপ্টেন।
বাংলাদেশের দুটি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। তার সঙ্গে একটি করে উইকেট পান এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ।
তার আগে ৬২.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। বাবর আজম ৭১ ও আজহার ৫২ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেন।