সাক্ষাৎকারে আশির দশকের তারকা ফুটবলার আশীষ ভদ্র

ফুটবল, খেলা

বার্তা২৪ টিম | 2023-12-28 17:35:27

চট্টগ্রামের সন্তান আশীষ ভদ্র, আবাহনীতে ১৯৮১ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত খেলেছেন। মাঝখানে এক বছর মোহামেডানে। দীর্ঘ সময়ে আবাহনীতে খেলা দেশ সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন।

তার সেই সোনালী দিনগুলো কেমন ছিলো, কি ছিলো সাফল্যের কৌশল- এসব নিয়ে কথা হয় বার্তা২৪ এর সঙ্গে।

বার্তা২৪: খেলার স্মৃতিগুলো বলুন…

শীষ ভদ্র:  ১৯৭৮ সালে জুনিয়ার টিমে চান্স পেয়ে যাই। তারপর সিনিয়র টিমেও চান্স পেয়ে গেলাম। শুরু হলো ফুটবল লাইফ। তারপর প্রি ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফাই ক্যাপ্টেন। এশিয়ান গেইমস ব্যাংকক, চায়না, ইন্ডিয়া, সিউলে এশিয়ান গেইমসে আমি খেলেছিলাম। ৯১ এ পযর্ন্ত নিয়মিত সদস্য হিসেবে খেলেছি জাতীয় দলে।

বার্তা২৪: অধিনায়কত্ব বেশি কষ্ট না ট্রাইবেকার পেনাল্টিতে খেলা কষ্ট?

আশীষ ভদ্র: পেনাল্টি মারাটা অনেক কষ্টকর। বিশেষ করে আবাহানী–মোহামেডানে যখন ম্যাচ হয়। এমন একটা অভিজ্ঞতা ছিলো। ক্যাপ্টেনসি থেকে ট্রাইবেকার মারা অনেক কঠিন। এটা একটা থ্যাকসলেস জব। ব্রাদারসের সঙ্গে পেনাল্টি মিস করে সালাউদ্দিন ভাইয়ের ক্যারিয়ার চলে গেলো।

বার্তা২৪: ক্যারিয়ার বিশাল অংশ খেলেছেন আবহানীতে অন্য কোথায় নয় কেন?

আশীষ ভদ্র:আমি সফট টাচের ফুটবল পছন্দ করতাম। তখন ওদের ফুটবলের আমি ফ্যান হয়ে গেলাম। ইচ্ছা হলো আবাহনীতে খেলবো। তাদের পাসিং গেপ তৈরি করা। স্মল পাসিং ভালো লাগতো।

বার্তা২৪: কার অবদান বেশি ছিলো ক্লাবে খেলতে?

আশীষ ভদ্র: ৮১ তে জয়েন করেছি। শেখ কামাল জন্ম দিয়েছেন এ ক্লাব। তখন উমর ভাইয়ের মুখে শুনেছি শেখ কামাল ভাই খেলার ব্যাপারে অনেক উৎসাহী। আমাদের তাকে দেখার সুযোগ হয়নি। তিনি ক্লাব ঠিক রাখতেন। ক্লাব ক্লিন রাখা এবং খেলাধূলার সামগ্রীতে ভরে রাখতেন।

বার্তা২৪: ঘুরিয়ে পাস দেওয়া এটা কিভাবে কোথায় শিখলেন?

আশীষ ভদ্র: কিছু তো হয়তো হয়ে গেছে স্বাভাবিকভাবে। আর কিছু চেষ্টা করতাম অনুশীলন করার। খেলায় খুব কার্যকর হয়ে যেতো। যখন আসলামের সঙ্গে খেলতাম তখন ওটা বেশ ইউটিলাইজ করতে পারতো। ও বলটা দিতো। ওই পাস আউটফুট কাভিং পাস বলে- বা পায়ে মারতে হতো, সেটা ডান পায়ে মারতাম আরকি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর