তামিম ইকবালের সেঞ্চুরির সঙ্গে মাহমুদুল হাসানের ফিফটি। দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে কড়া জবাবই দিয়ে যাচ্ছিল টাইগাররা। তবের জয়ের বিদায়ে মড়ক লাগে। দ্রুত নাজমুল হোসেন শান্ত (১) ও মমিনুল হককে (২) বিদায় করে দুই উইকেট তুলে নেয় বদলি বোলার কাসুন রাজিথা।
তবে সেঞ্চুরিয়ান তামিমকে পরাস্ত করতে পারেনি লঙ্কান বোলাররা। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে দেশসেরা এ ওপেনার উইকেট ছাড়লেও বিপদ ঘটাতে পারেনি অতিথি বোলাররা। ক্রিজে ব্যাট হাতে টিকে গেছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।
মুশফিক (১৩৪ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৫৩*) ও লিটন (১১৩ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫৪*) দুজনেই হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে টিকে আছেন ব্যাটিং লড়াইয়ে। অবিচ্ছিন্ন আছেন ২১১ বলে ৯৮* রানের পার্টনারশিপ গড়ে। তাদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় রান পাহাড়ের দিকেই ছুটছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তৃতীয় দিন শেষে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা ৩ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩১৮ রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষে ব্যাট হাতে মাঠে নেমেই ব্যাটিং ঝলক দেখিয়ে যাচ্ছিলেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়। তৃতীয় দিনের সকালের সেশনেও দুজনে দাপুটে ব্যাটিং করলেন।
দুরন্ত ব্যাটিং চালিয়ে তামিম ইকবাল ২৬ মাস বিরতি শেষে টেস্টে পেলেন সেঞ্চুরি। ২১৭ বলে ১৫ বাউন্ডারিতে ১৩৩* রান নিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে গেছেন দেশসেরা এ ওপেনার। টেস্টে এটি তার ১০তম সেঞ্চুরি। তবে লঙ্কানদের বিপক্ষে এটি তার প্রথম শতক।
তামিমের সঙ্গে ফিফটি হাঁকিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়ও। মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পরপরই ১৪২ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করে সাজঘরে ফিরে গেছেন তরুণ এ ওপেনার। ফেরার আগে ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গে ২৯৭ বলে ১৬২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন জয়। পাঁচ বছর ও ৬১ ইনিংস পর টেস্ট ক্রিকেটে উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পেল বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম টেস্টে তার আগে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে স্বাগতিকরা। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা সবকটি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ৩৯৭ রান।