গত ৩০ অক্টোবর মাঠের খেলার নিস্পত্তি হয়েছিল নির্বাহী কমিটির সভায়। ১-১ গোলে ড্র ম্যাচের ফল এসেছিল টেবিলের সিদ্ধান্তে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে ইতি টানা হয় ঢাকা প্রিমিয়ার হকি লিগের। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বন্ধ হয়ে যাওয়া সেই ম্যাচ নিয়ে সমাধান হলেও নতুন করে আবার বিতর্ক ছড়িয়েছে।
গত ৭ জুন মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে খেলা অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচের দুই দল মেরিনার ইয়াংস ও মোহামেডান দুই দলের চার চার কর্মকর্তা ও ফেডারেশনের একজনকে শাস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। অনাকাঙিক্ষত ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে তাদের।
সুপার ফাইভের সেই শেষ ম্যাচে মোহামেডান ও মেরিনার্স দুই দলের খেলোয়াড়রাই ছিলেন উত্তেজিত। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বারবার রিভিউ নিয়েছেন তারা। এক পর্যায়ে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠলে খেলাটাই বন্ধ হয়ে যায়। ৪৪ মিনিটের পর আর খেলা হয়নি। ম্যাচ ১-১ ড্র। প্রায় পাঁচ মাস পর ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি সেই ম্যাচ ড্র ধরেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে মোহামেডানকে।
এবারই তারই রেশ ধরে নির্বাহী কমিটির আরেক সভায় সোমবার শাস্তি পেলেন চার কর্মকর্তা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহামেডানের কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রিন্স, ম্যানেজার আসাদুজ্জামান চন্দন, মেরিনার্সের সাধারণ সম্পাদক হাসানউল্লাহ খান রানা (রানা হাসান) ও কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ফেডারেশন সুত্রে জানা গেছে, রানা, প্রিন্স, চন্দনকে ৫ বছরের জন্য বহিষ্কার ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। আর্থিক জরিমানা না দিলে আরো দুবছর শাস্তির মেয়াদ বাড়বে। আর নজরুলকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একইসঙ্গে টেকনিক্যাল কর্মকর্তা নাজিউর রহমানের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় অভিযোগ উঠেছে। তাকে আগামী তিন বছরের জন্য হকির সব কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক গণমাধ্যমে এই তথ্যগুলো তুলে ধরেন। তবে তাদের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। অভিযুক্ত মেরিনার্সের সাধারণ সম্পাদক হাসানউল্লাহ খান রানা এই শাস্তি মেনে নিতে নারাজ। নিজেকে নির্দোষ দাবী করে চ্যালেঞ্জও জানিয়েছেন হকি মাঠের পরিচিত এই মুখ।
অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকা হাসানউল্লাহ খান রানা বার্তা-২৪'কে বলেন, ‘শুনলাম, হকিতে নাকি আমাকে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। কেন? ওই দিন আমি গ্যালারিতে বসে মাঠের সব নাটক দেখলাম। আর মেরিনারের কিছু করার প্রয়োজনও ছিল না। ঘটনা ঘটতে ছিল, তার সবকিছুই তো আমাদের পক্ষে ছিল। অযথা মাঠের খেলা চক্রান্তে রুপ দিলে পরিবেশটা আরো নষ্ট হবে। ৭ জুন সেই ঘটনার জন্য আমি দায়ী এটা প্রমাণ দিতে পারলে খুশি হবো।’