ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২-কে ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক বিতর্ক। আর এই বিতর্কে সিংহভাগ কারণই আয়োজককারী দেশ কাতার। যে ভাবে কাতারের অসংবেনশীল এবং কঠোর আইন উন্নত বিশ্বের মানুষদের ব্যক্তিস্বাধীনতার পরিপন্থী তাতে এই দেশে পা দেওয়া সমর্থকদের চিন্তা বাড়াচ্ছে। খেলা দেখতে এসে শেষ পর্যন্ত জেলে ঠাঁই না হয় সেটাই এখনও বড় চিন্তার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে আগামী এক মাস লাখো সমর্থকের ঠিকানা এখন কাতার। তবে সমর্থকরা যদি কাতারের নিয়ম লঙ্ঘন করে তাহলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাতার প্রশাসন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সমর্থকদের অনুরোধ করেছে 'কাতারের সভ্যতা এবং নিয়মকানুন'কে সম্মান করার জন্য। কাতারের আইনেই দেওয়া রয়েছে মদ, ড্রাগস, যৌনতা, সমপ্রেম এবং ড্রেস কোর্ড নিয়ে বিধান। বিশেষ করে পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে খুব কঠোর নিয়ম রয়েছে কাতারে। পর্যটকদের বারবার ভাবতে বাধ্য করতে পারে স্থানীয় সরকারের এই কঠোর নিয়মগুলি সেই দেশে ভ্রমণ করার আগে।
ডেলিস্টারে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বাইরে থেকে আসা সমর্থকদের অনুরোধ করা হয়েছে নিজেদের কাঁধ এবং পেট ঢাকা পোশাক পরার জন্য। ভদ্রভাবে পোশাক পরতে হবে নারীদের এবং যারা স্কার্ট পরবেন তাদের স্কার্ট হতে হবে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত এবং কাঁধ অবশ্যই ঢাকা থাকতে হবে। পুরোপুরি ভাবে পুরুষরাও নিজেদের টি-শার্ট খুলতে পারবেন না। এই নিয়ম লঙ্ঘনকারীকে জরিমানা গুণতে হবে এবং প্রয়োজনে জেলেও যেতে হতে পারে। হাতা ছাড়া কোনও পোশাক পরা যাবে না, যেমনটা পরা যাবে না বিতর্কিত কিছু কথা লেখা টি শার্ট।
কাতার টুরিজমের ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, "কাতারে পোশাকের বিষয়ে কোনও কঠিন আইন নেই, কিন্তু আশা করা হচ্ছে ভ্রমণকারীরা স্থানীয় রীতিনীতির প্রতি সম্মান দেখাবেন জন সমাগমের মধ্যে খোলামেলা পোশাক না পরে। পুরুষ এবং নারীদের উদ্দেশ্যে জানানো হচ্ছে তারা এমন পোশাকের ব্যবহার করুন যেখানে কাঁধ এবং হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ঢাকা থাকবে।
কাতারের সমালোচনা আরও বাড়ে যখন হঠাৎ করে বিশ্বকাপে বল গড়ানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ফিফার তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় আটটি স্টেডিয়ামের মধ্যে এবং চারপাশে বিয়ার পান করা বা বিক্রি করা যাবে না।