ফিফা বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করেছে ইরান। ম্যাচ শুরুর আগে অভিনব প্রতিবাদ জানালেন ইরানের ফুটবলাররা। কেউই গাইলেন না জাতীয় সংগীত। ইরানে হিজাববিরোধী যে আন্দোলন চলছে তার প্রতি সমর্থন জানাতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখ মরালিটি পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন ২২ বছরের মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়েছিল। ইরানে পোশাক নিয়ে ফতোয়া অমান্য করার দায়ে কুর্দিশের আমিনিকে তেহরানে গ্রেফতার হতে হয়েছিল। যার অন্যতম কারণ, তিনি হিজাব পরেননি, যা ইরানে পরা বাধ্যতামূলক। গ্রেফতারির তিন দিন পরেই পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন মারা যান আমিনি। এরপর থেকে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। দেশজুড়ে চলছে হিজাববিরোধী আন্দোলন।
খেলা শুরুর আগে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে যখন ইরানের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় তখন তাতে ইরানের ১১ ফুটবলারের কেউই গলা মেলাননি। তারা নীরব ছিলেন। এটি দেশে আন্দোলনকারীদের প্রতি নীরব সমর্থন এবং শাসকের প্রতি প্রতিবাদ বলেই চিহ্নিত হয়েছে ইতিমধ্যেই। ইরানি বিপ্লবের পর থেকে চলে আসা শাসকরা বিষয়টি কীভাবে নেবে তা স্পষ্ট হবে কয়েক দিনেই।
তবে ইরানের ফুটবলারদের প্রতিবাদের এই ধরন নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। দেশে ফিরলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে কিনা তা নিয়েও অনেকের মনে থাকছে সংশয়। ইরানের অধিনায়ক জাহানবাখশ আগে জানিয়েছিলেন, ইরানের শাসকের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ, আন্দোলন চলছে তাতে সমর্থন জানাতে জাতীয় সংগীত গাইবেন কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু আজ খেলা শুরুর আগে ভাবলেশহীনভাবে দাঁড়িয়ে থেকে এবং জাতীয় সংগীতে গলা না মিলিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ইরানের ফুটবলাররা।