লুসাইল স্টেডিয়ামে গ্রুপ জি ম্যাচে ২৫তম র্যাঙ্কড সার্বিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল তাদের বিশ্বকাপ অভিযান জয় দিয়ে শুরু করল। এই ম্যাচে সবকিছু ঠিকঠাক চললে বা ব্রাজিলের সবকটি আক্রমণ ব্যর্থ না হলে বহু গোলে জিততে পারত। তবে শেষ পর্যন্ত ২-০ জয় পেল ব্রাজিল। এদিন নেইমার গোল না করলেও, রিচার্লিসনের দ্বিতীয় গোল সকলের মন জিতেছে।
প্রথমার্ধের পরিসংখ্যান বলছে, ব্রাজিল ৪টি শট নিয়েছিল, এর মধ্যে ২টিই টার্গেটে। স্কোর লাইনে যদিও তার কোনও ছাপ পড়েনি। হলুদ জার্সির ফুটবলাররা মরিয়া চেষ্টা করলেন গোলের। কিন্তু সার্বিয়ার রক্ষণভাগ আরও প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স করল। বিশ্বের এক নম্বর দল, পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, ফেভারিট ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ক্লিনশিট রেখে বিরতিতে যাওয়া, সার্বিয়ার জন্য প্রশংসার উর্ধে। প্রথমার্ধে তারাও একটি শট নিয়েছিল। তুলনায় ব্রাজিল আক্রমণ অনেক বেশি দক্ষতা দেখিয়েছে। এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। পরিসংখ্যান বলছিল, বিশ্বকাপে ব্রাজিলের শেষ ১০টি গোল এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে!ফলে সেই আশাতেই বুক বেঁধেছিলেন ব্রাজিল সমর্থকরা। ৪৯ মিনিটে নেইমারকে বক্সের সামনে ফাউল করেন গুডেল। ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল। সার্বিয়ান ওয়ালে ধাক্কা খায় নেইমারের শট। কিছু মুহূর্ত পরেই অ্যালেক্স স্যান্ড্রো থেকে ভিনিসিয়াস এবং স্কোয়ার পাস। নেইমার গোলে শট নিতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে বাড়তি তাগিদ ব্রাজিল ফুটবলারদের। ঘণ্টাখানের মাথায় অ্যালেক্স স্যান্ড্রোর দূরপাল্লার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পরিসংখ্যানই সত্যি হল। অবশেষে ৬২ মিনিটে গোলের খাতা খুলল ব্রাজিল। বেশ কিছু পাস খেলে আক্রমণে ওঠে ব্রাজিল। নেইমারের পাস ভিনিসিয়াসের দিকে। তাঁর শট আটকে দেন সার্বিয়া গোলরক্ষক। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। ফিরতি বলে শট রিচার্লিসনের। সার্বিয়ান রক্ষণ নেইমারের দিকেই বেশি নজর রেখেছিল। ডান দিকে রিচার্লিসন আনমার্কড। সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে দেন রিচার্লিসন। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল ব্রাজিলের। এ বারও রিচার্লিসন। একটাই প্রশ্ন, কীভাবে!!! অবিশ্বাস্য গোল বললেও কম বলা হয়। বক্সের সামনে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের স্কোয়ার পাস। অনবদ্য দক্ষতায় বল হাওয়ায় তুলে ক্যারাটে কিক রিচার্লিসনের।
অনবরত আক্রমণে সার্বিয়ার সলিড রক্ষণ বারবার হার মানে। যদিও বেশ কিছু শট পোস্ট এবং বারে লাগে। নয়তো ২-০’র জায়গায় আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারতো ব্রাজিল।