বড় জয় দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করা একবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে রুখে দিল যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) গ্রুপ-বি’র ম্যাচে ইংল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে যুক্তরাষ্ট্র। এই ড্র’তে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ইংল্যান্ড। ২ ম্যাচে ইরানের ৩, যুক্তরাষ্ট্রের ২ ও ওয়েলসের ১ পয়েন্ট। শেষ রাউন্ডের ম্যাচে নিশ্চিত হবে গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোর টিকিট পাবে কোন দু’টি দল।
জিতলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত-এমন সমীকরণকে সাথে নিয়ে আল-খোরের আল-বায়াত স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড। শুরু থেকেই বল দখলে রাখে যুক্তরাষ্ট্র। এসময় বল পেতেই ঘাম ঝড়েছে ইংল্যান্ডের। বল দখলে রাখলেও কোন আক্রমণ করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। বরং দশম মিনিটে প্রথম আক্রমণ করে ইংল্যান্ড। স্ট্রাইকার বুকায়ো সাকার পাস থেকে হ্যারি কেনের ডান পায়ের শট আটকে যায় যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার ওয়াকার জিমারম্যানের পায়ে লেগে।
এই আক্রমণের পর ইংল্যান্ডকে চেপে ধরে যুক্তরাষ্ট্র। আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে ইংলিশদের। ১৭ মিনিটেই গোলের ভালো সুযোগ পায় যুক্তরাষ্ট্র। মিডফিল্ডার ওয়েস্টন ম্যাককিনি ক্রস থেকে হেড করেন স্ট্রাইকার হাজি রাইট। তবে সেটি ইংল্যান্ডের বারের পাশ দিয়ে চলে যায়।
এরপর ২৬ ও ২৯ মিনিটে দু’টি আক্রমণ চালিয়েও গোলের দেখা পায়নি যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমে ডান প্রান্ত দিয়ে রাইটের বাড়ানো ক্রসে ম্যাককিনির শট গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়। পরেরটি মিডফিল্ডার ইউনুস মুসার তীব্র শটটি প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের মাথায় লেগে বাইরে চলে যায়।
অবশ্য বারবকারই ভাগ্য বিরোধীতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের। ৩৩ নিনিটে মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে স্ট্রাইকার ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচকে বল দেন মুসা। বল পেয়ে জায়গা করে নিয়ে ইংল্যান্ডের গোলবার লক্ষ্য করেপুলিসিচের বুলেট গতির শটটি ক্রসবারে গিয়ে আটকে যায়।
তবে থেমে থাকেনি যুক্তরাস্ট্র। বাকি সময়েও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু গোল আর দেখা দেয়নি তাদের। শেষ পর্যন্ত গোল শূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধেও ইংল্যান্ডকে চাপে রাখতে পারে যুক্তরাষ্ট্র্। যথাক্রমে ৪৯ মিনিটে ও ৫০ মিনিটে পর পর নিজেদের ভুলে দু’টি আক্রমণ নসাৎ হয়ে যায় আমেরিকানদের।
শেষ দিকে আক্রমণের পসরা সাজায় ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে এই অর্ধে প্রথম আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। ফরোয়ার্ড সতীর্থ জ্যাক গ্রীলিশের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের বাঁ-দিক দিয়ে গোলে শট নেন স্ট্রাইকার মার্কোস রাশফোর্ড। কিন্তু সেটি আটকে দেন প্রতিপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজলে গোলশূন্য ম্যাচ নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র।