দ্য ফেনোমেনন খ্যাত রোনাল্ডো, রবার্তো কার্লোস, কাফু ও কাকা; বিশ্বকাপ উপভোগ করতে এসেছেন কাতারে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচে ক্যামেরার ফ্রেমে আটকা পড়ছিলেন চার কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান।
গতকাল সোমবার সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ভিআইপি বক্সে বসেছিলেন তারা। উপভোগ করেছেন ম্যাচ। বিশ্বকাপে ইউরোপীয় দেশটির বিপক্ষে রেকর্ড জয়ের ম্যাচের স্বাক্ষী হয়েছেন তারাও।
২০০২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন চারজনই। রোনাল্ডো-কাফু-কার্লোস খেলেছেন ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপেও। সেবার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে হেরেছিল ব্রাজিল। ফাইনালের আগের দিন হঠাৎ অসুস্থতায় পড়া রোনাল্ডোর দল ফ্রান্সের জিনদিনে জিদানের অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে জিততে না পারলেও, পরের বিশ্বকাপে রোনাল্ডো জিতিয়েছেন দলকে। ব্রাজিলকে দিয়েছিলেন পঞ্চমবারের মত শিরোপার স্বাদ।
২০০২ সালে এশিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালে জোড়া গোল করেছিলেন রোনাল্ডো। এটাই এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের সবশেষ বিশ্বকাপ জয়।
গতকাল সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে ব্রাজিল কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে। সার্বিয়া ও সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচে জমাট রক্ষণের দেখা মিলেছে ব্রাজিলের। ব্রাজিলের ডিফেন্ডাররা প্রতিপক্ষকে একবার গোলমুখে শট নিতে দেননি।
৯২ বছরের বিশ্বকাপের ইতিহাসে এনিয়ে এমন ঘটনা দুবারই ঘটল। যার একটা ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে। সেবারও ফ্রান্সের প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষ তাদের গোলমুখে শট নিতে পারেনি একটাও। এবার ব্রাজিল ফ্রান্সের সেই রেকর্ডে ভাগ বসাল।
১৯৯৮ বিশ্বকাপে খেলেছেন কাফু-কার্লোস, রোনাল্ডো। পরের বিশ্বকাপে তাদের সঙ্গে দিয়েছিলেন কাকাও।
কাফু চারটা বিশ্বকাপে টানা তিনটি ফাইনাল খেলেছেন। দুইবার হয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য। বিশ্বকাপে ২০টি ম্যাচ খেলেছেন এই ডিফেন্ডার।
দুইটি ফাইনালসহ তিনটি বিশ্বকাপ খেলা রবার্তো কার্লোস বিশ্বকাপে ১৭ ম্যাচে অংশ নিয়ে করেছেন একটি গোল।
কাকা ২০০২ সালের ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। বিশ্বকাপে ১০টি ম্যাচ খেলেছেন ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার, ব্যালন ডি'অর জয়ী এই মিডফিল্ডার।
দ্য ফেনোমেনন খ্যাত রোনাল্ডো লিমা দুইবারের ব্যালন ডি'অর ও তিনবারের ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার জয়ী। বিশ্বকাপের ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। তিনবার বিশ্বকাপ খেলা এ ব্রাজিলিয়ান ১৯ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৫ গোল। জাতীয় দলের হয়ে ৯৮ ম্যাচে করেছেন ৬২ গোল।