শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার কাছেই হার মানলেন ভারতের তারকা দাবাড়ু রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। শেষ লড়াইয়ে ম্যাগনাস কার্লসেনের কাছে হার মানেন তিনি। তাই অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন কার্লসেনই।
তবে দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে রানার্সআপ হলেও, বিশ্বের এক নম্বর কার্লসেনের সঙ্গে জোর টক্কর দিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন ১৮ বছর বয়সি প্রজ্ঞা।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার এবং বুধবার প্রথম দুটি ক্লাসিক্যাল রাউন্ড ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। বৃহস্পতিবারের (২৪ আগস্ট) সেই লড়াইয়ে আর টিকতে পারেননি প্রজ্ঞা। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নের কাছে হার মানলেন ১৮ বছরের প্রজ্ঞানন্দ। ফাইনালের প্রথম টাইব্রেক জেতেন ম্যাগনাস কার্লসেন। ৪৭ চালের লড়াইয়ের পর দুরন্ত চালে শেষ করেন কার্লসেন। সেই সঙ্গে প্রথম টাইব্রেকে জিতে ১-০ লিড নেন নরওয়ের এই কিংবদন্তি।
দ্বিতীয় টাইব্রেক তাই প্রজ্ঞার কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। ডু অর ডাই পরিস্থিতিতে স্নায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। আর সেই জায়গাতেই পিছিয়ে পড়েন ১৮ বছরের উঠতি তারকা।
দ্বিতীয় টাইব্রেকে ড্র করে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় প্রজ্ঞানন্দকে। তাই ফের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেন নরওয়ের কার্লসেন।
প্রজ্ঞা ও কার্লসেন-দুই তারকাই টাইব্রেকারে প্রথম র্যাপিড রাউন্ডে শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলতে শুরু করেছিলেন। রীতিমতো স্নায়ুর যুদ্ধ চলছিল। এদিকে ঘড়ির কাটাও নিজের গতিতে চলছিল।
মাঝে একটি চাল দিতে গিয়ে সাড়ে ৬ মিনিট সময় নিয়ে নেন প্রজ্ঞানন্দ। সেখানে কিছুটা পিছিয়ে পড়েন তিনি। প্রজ্ঞার সময় কমতে থাকায় খেলায় ভুল করতে শুরু করেন তিনি। এতে তার রাজা অরক্ষিত হয়ে যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাজিমাত করেন কার্লসেন। কারণ একটা পরিস্থিতিতে প্রজ্ঞার সময় ১০ সেকেন্ডের নীচে নেমে গিয়েছিল। সেখান থেকে হার মানা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না ১৮ বছরের তারকার।
র্যাপিডের দ্বিতীয় রাউন্ডে আবার সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলতে শুরু করেন কার্লসেন। প্রজ্ঞা যে চাপে পড়ে গিয়েছিল, সেটা তার খেলা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। প্রতিটি চাল দিতে তিনি যেমন সময় নিচ্ছিলেন, তেমনই ভুলও করে বসছিলেন। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে ২২ চালের পরে ড্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুই প্রতিযোগী। খেলা জিতে যান কার্লসেন।