আসরজুড়ে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা ভারত শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে উঠে এই প্রথম এতটা চাপে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরুর ১০ ওভারে তিন উইকেট হারানোর পর সেই চাপ সামাল দিতে এতটাই সতর্ক ছিল যে; পরের বাউন্ডারি আদায় করতে মাঝখানে সময় নিতে হয়েছে ৯৭ বল! চলতি আসরে যেই রেকর্ড ছিল নেদারল্যান্ডসের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি বাউন্ডারি পেতে ৯৫ বল অপেক্ষা করতে হয়েছিল ডাচদের।
তবুও যদি চাপ এড়ানো যেত পুরোপুরি। ২৭ তম ওভারে ম্যাক্সওয়েলকে বাউন্ডারি হাঁকানোর পর ২৯ তম ওভারে এসে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় ভারত। ফিফটির পর আগ্রাসী না হয়েই ফিরেন কোহলি। ৬৩ বলে ৫৪ রান কামিন্সের বলে স্টাম্প ভাঙে তার। দলীয় ১৪৮ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন হয় ভারতের।
এর আগে আহমেদাবাদে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিয়ে পাঠিয়ে শুরুতেই শুভমান গিলকে ফেরায় অজিরা। দলকে চাপে নুইয়ে পড়তে দেননি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এদিনও ব্যাট হাতে শাসন করলেন অজি বোলারদের। তবে গত ম্যাচের মতো এদিনও ৪৭ এই কাটা পড়তে হয়েছে তাকে। ৭৬ রানে নেই ফর্মে থাকা দুই ওপেনার। এবার কিছুটা চাপেই পড়ল ভারত।
সমর্থকরা স্বপ্ন দেখছিলেন আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে। পারেননি তিনিও। অজি অধিনায়ককে খেলতে গিয়ে গড়বড় পাকিয়ে ৪ রানে ফিরলেন দলকে বিপদে ফেলে। আসরজুড়েই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা ভারত এই প্রথম চাপে পড়ল এতটা। সেই চাপ সামাল দিয়েছিলেন কোহলি-রাহুল। দু’জনে মিলে টানছিলেন দলকে। তবে পুরোপুরি বিপদ মুক্ত না করেই ফিরতে হয়েছে তাকে।
সেই ধাক্কা সামলাতে উইকেটে এসেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। রাহুলের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেট খরচায় ১৫২ রান। উইকেটে আছেন জাদেজা ও রাহুল। রাহুল আছেন ফিফটির পথে।