৬৩ অলআউটে সমালোচনার কিছু দেখছেন না শোয়েব মালিক!

ক্রিকেট, খেলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 21:51:19

ষষ্ঠ বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শুরুটা খুব একটা সুখের হয়নি। প্রথম ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সের ১২৭ রানের মামুলি টার্গেট টপকাতে কুমিল্লার ঘাম ছুটে যায়। ম্যাচ জিতে তারা শেষ ওভারে। শহীদ আফ্রিদি শেষের দিকে দাড়িয়ে গেলেন বলেই কুমিল্লা শেষ ওভারে হাসতে পারলো; কাষ্ট হাসি!

দ্বিতীয় ম্যাচে তো দাড়াতেই পারলো না কুমিল্লা। কোটার পুরো ওভারও খেলতে পারলো না। গুটিয়ে গেল মোটে ৬৩ রানে! আয়েশে সেই ম্যাচ ৯ উইকেটে জিতে নিলো রংপুর রাইডার্স।

বিপিএলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটাই কুমিল্লার সর্বনিম্ম স্কোর। আফ্রিদি বাদে যে ম্যাচে বাকি সব ব্যাটসম্যান সিঙ্গেল ডিজিটে আউট। ৪০ ওভারের ম্যাচ শেষ ২৮.৪ ওভারে! অথচ এই ম্যাচ এবং দলের ৬৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার মধ্যে ‘বড় কোন সমস্যা’ দেখছেন না শোয়েব মালিক। কুমিল্লার পাকিস্তানি এই তারকা বুধবার বিসিবির ক্রিকেট একাডেমিতে দলের অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের বেশ লম্বা সময় দিলেন। অনেক কৌতুহলী প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দিলেন। সবচেয়ে বড় কথা আগের ম্যাচে তার দলের ৬৩ রানে গুটিয়ে পড়ার ঘটনাকে ডিফেন্ড করলেন! বললেন-‘ ক্রিকেটে এমনটা ঘটেই থাকে। তিন ফরমেটের ক্রিকেটেই আমরা দেখেছি অনেক শক্তিধর ব্যাটিং লাইনআপের দল ৪০/৫০ রানে গুটিয়ে যায়। যে কোন ক্রিকেট ম্যাচেই এটা ঘটতে পারে। এটা ছোট স্কোর। কিন্তু এটা নিয়ে সমালোচনা করার মতো কিছু নেই। ঐ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে শুধু আমরাই নই, ব্যাট হাতে রংপুর রাইডার্সও বেশ সংগ্রাম করেছে। জয়ের জন্য ৬৪ রান তাড়া করতে নামা তাদের ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রেটই তো বড় প্রমান।’

টুর্নামেন্টের যেসব ম্যাচে রান কম হচ্ছে তখন সব দোষ গিয়ে পড়ছে উইকেটের ওপর। কিন্তু মিরপুরের উইকেটে দোষের কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না শোয়েব মালিক-‘পিচ ঠিক আছে। ভুল লাইনে গিয়ে শটস খেললে আউট তো হবেই। এমন সব উইকেটে ১৪০ থেকে ১৫০ রান করার মতো দক্ষতা দেখানো সম্ভব।’

দুই ম্যাচে একটায় জয়। তাও টেনেটুনে। পরের ম্যাচে গো হারা হার। টুর্নামেন্টের অন্যতম হট ফেভারিট কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সামনে পরের ম্যাচে কাজটা অনেক বেড়ে গেল। সেই দায়িত্ব প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন-‘ সবাই তো জিততেই মাঠে নামে। আমাদের মাথায়ও তাই থাকছে। এখন আমাদের পরিকল্পনা গুলোর সফল প্রয়োগ ঘটাতে হবে। সেই কাজ সুচারুরূপে করার জন্য শুরুর তিন ব্যাটসম্যানের ওপর অনেককিছু নির্ভর করে। ঠিক একইভাবে শুরুতে উইকেট নিতে পারলেও বোলিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা যায়।’

লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ। দক্ষ অলরাউন্ডার। অভিজ্ঞ তারকা। ডাগআউটে নিপুন পরিকল্পনাবিদ। চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জেতার অভিজ্ঞতা। যত্নশীল ম্যানেজমেন্ট। এমনকি বিপুল সমর্থক গোষ্ঠী; ক্রিকেটীয় তুঙ্গে উঠার জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদার সবকিছুই আছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের।

এখন একটাই কাজ-পারফরমেন্সের যোগান!

এ সম্পর্কিত আরও খবর