লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই দলের লড়াই। এমন দ্বৈরথ দেখতে দর্শকদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। তবে রংপুর রাইডার্সের নীরস ব্যাটিংয়ে রোমাঞ্চে কিছুটা ছেদ পড়েছে বৈকি! যদিও শেষটায় মারকুটে ব্যাটিং করে দর্শকদের আনন্দের খোরাক জুগিয়েছেন রংপুর ব্যাটার জেমস নিশাম। তার ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত কিছুটা হলেও লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে রংপুর। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলিং তোপ সামলে ১৯.৫ ওভারে রংপুরের সংগ্রহ ১৫০ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় কুমিল্লা। শুরু থেকেই রংপুরকে চেপে ধরেন কুমিল্লার বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন স্পিনার তানভির ইসলাম। তার বল তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে ম্যাথু ফোর্ডের ক্যাচ হন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং (৪)।
পরের ওভারে সে ফোর্ডের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন অন্য ওপেনার রবি তালুকদার (১৪)। সেখানেই শেষ নয়, পাওয়ার প্লে’র মধ্যে রংপুরের আরও দুই ব্যাটারের ঠাঁই হয় সাজঘরে। ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদ দেখা দলটির আশার প্রতীক হয়ে তখন ক্রিজে দাঁড়িয়ে সাকিব আল হাসান।
তবে মুশফিক হাসানের বল শুন্যে ভাসিয়ে খেলতে গিয়ে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন সাকিবও। ২৪ রানে মুশফিকের বলে মিড অফে সুনীল নারাইনের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন রংপুরের এই তারকা ক্রিকেটার।
সাকিব ফেরার প্রতিরোধের দেয়াল গড়েন নিশাম। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে তার হার না মানা ফিফটিতে বল হাতে লড়াইয়ের রসদ পায় রংপুর। ৯ চার এবং ২ ছয় সহযোগে ৪২ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন নিশাম।
কুমিল্লার পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট পান মুশফিক হাসান এবং আন্দ্রে রাসেল।