শেষ ওভারের নাটকে সুপার ওভার দেখলো বিপিএল! ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে চিটাগং ভাইকিংসের প্রয়োজন দাড়ায় ১৯ রানের। তিন ছক্কায় ১৮ রান তুলে নেয় চিটাগং। শেষ বলে জয়ের জন্য চাই মাত্র ১ রান। চিটাগং সেই ১ রান নিতে পারেনি। শেষ বলে ফ্রাইলিঙ্ক রান আউট হন। দুদলের স্কোর সমান! ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে!
শেষ ওভার শুরুর হওয়ার আগে প্রায় হিসেবের বাইরে ছিলো চিটাগং ভাইকিংস। শেষ ওভারে ১৯ রান কঠিন টার্গেট। কিন্তু দারুণ নাটকীয়তায় গড়ানো সেই শেষ ওভারে কোন দলই যে জিতলো না! আরিফুল হকের করা সেই ওভারের প্রথম বলেই নাঈম হাসান কোন রান নিতে পারেননি। দ্বিতীয় বলেই সেই ভুল শুধরে ছক্কা হাঁকান। তৃতীয় বলে একই কাজ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে ফিরেন, আউট! চতুর্থ বলে ফ্রাইলিঙ্ক আরেকটি বিশাল ছক্কা হাঁকান। ম্যাচ জিততে চিটাগং ভাইকিংসের প্রয়োজন দাড়ায় ২ বলে ৭ রান। আরিফুলের করা পঞ্চম বলটা ফুলটসে পান ফ্রাইলিঙ্ক, ব্যস ছক্কা। শেষ বলে ম্যাচ জিততে চাই চিটাগংয়ের মাত্র ১ রান।
কিন্তু এবার শেষ বলে নায়ক আরিফুল। অফস্ট্যাম্পের বাইরে পড়া তার শেষ বলটা ব্যাটে লাগাতেই পারেননি ফ্রাইলিঙ্ক। বল যায় উইকেটকিপারের কাছে। ননস্ট্রাইকার প্রান্ত থেকে সানজামুল ইসলাম দৌড় শুরু করেন। অনেক পরে ফ্রাইলিঙ্কও রানের জন্য দৌড়ান। কিন্তু ক্রিজে পৌছাতে পারেননি। রান আউট হয়ে যান। স্কোর টাই। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
শেষ ওভারের হিসেবটা এমন;
প্রথম বল: কোন রান নেই। দ্বিতীয় বল: নাঈম হাসান ছক্কা হাঁকান। তৃতীয় বল: নাঈম হাসান আউট। চতুর্থ বল: ফ্রাইলিঙ্ক ছক্কায় গ্যালারিতে। পঞ্চম বল: ফ্রাইলিঙ্কের আরেকটি ছক্কা। ষষ্ঠ বল: ফ্রাইলিঙ্ক রান আউট!
দু’দলের স্কোর সমান। ম্যাচ টাই।
টসে জিতে চিটাগং ভাইকিংস। খুলনা ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫১ রান করে। জবাবে চিটাগং ভাইকিংসও ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫১ রান তোলে।