সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ছিল রোববার। যা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৭ মার্চ সকালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অবস্থিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময়ে যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দপ্তর সংস্থার প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ শেখ কামাল অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শেষে জাতির পিতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। সভায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামমুখর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা যা কিছুই করি না কেন, সেটি যথেষ্ট নয়। আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে শুধু মুখে নয়, হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ ও লালন এর মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ সম্ভব হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন, সেটির সফল বাস্তবায়ন সম্ভবপর হবে।
যুব ও ক্রীড়া সচিব আরও বলেন, স্বাধীনতার পরে অন্যান্য সকল সেক্টরের ন্যায় বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মাত্র সাড়ে তিনবছরে তিনি ২২ টিরও বেশি ক্রীড়া ফেডারেশনসহ জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা যা আজকের এনএসসি প্রতিষ্ঠা করেন। ক্রীড়াবিদদের সাহায্য করতে তিনি বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশের ক্রীড়াঙ্গন আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতো।