বাংলাদেশে টেবিল টেনিসের উন্নয়নে পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের চাইনিজ একাডেমিতে প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিচ্ছে দেশটি। কোন ভালো একাডেমিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেবে চীন।
কয়েক মাস আগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের চীনে প্রশিক্ষণের ব্যাপারে কাজ শুরু করে। সম্প্রীতি চীন এ ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে। এই প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশের ২০ জন প্রতিভাবান যুব টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ৪৬ দিন চীনের কোন ভালো একাডেমিতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে। বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে তাদের দেশে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। সেই প্রস্তাবের চূড়ান্ত অনুমোদন মিলেছে বলে টেবিল টেনিস ফেডারেশনকে জানিয়েছে চীনা দূতাবাস।
চীনের এই সম্মতি বাংলাদেশের টেবিল টেনিসের জন্য সুখবর বলছেন টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খোন্দকার হাসান মুনীর। 'টেবিল টেনিসের বিশ্ব শাসন করে চীন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের খেলোয়াড়রা চীনে কিভাবে প্রশিক্ষণ নিতে পারে সে ব্যাপারে গত সাত থেকে আট মাস আগে চেষ্টা চালিয়েছিল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। গত ৩ এপ্রিল আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এটা আমাদের জন্য সুখবর, বলতে পারেন এটা আমাদের জন্য ঈদ উপহার। চীন সরকার আমাদের জানিয়েছে, মে মাসের পর জুন অথবা জুলাই মাসের দিকে আমাদের ২০ জন খেলোয়াড়কে ৪৬ দিনের অ্যাডভান্স ক্যাম্পে নিয়ে যাবে। ক্যাম্পটা যাতে ভালো একটা একাডেমিতে হয় সে ব্যাপারেও তারা নিশ্চয়তা দিয়েছে। গত ৩ এপ্রিল চাইনিজ এম্বাসিতে একটা প্রোগ্রাম ছিল। সেই প্রোগ্রামে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, খেলোয়ারদের চীনে ট্রেনিং ক্যাম্পের বিষয়ে সব কিছুই চূড়ান্ত হয়েছে। ভালো একটা একাডেমিতে যাতে ট্রেনিং হতে পারে সে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কোন অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং হবে আশা করি মে মাসের মধ্যেই তা জানতে পারবো।
খোন্দকার হাসান মুনীর আরও বলেন, 'ঐদিন ৩ এপ্রিল চাইনিজ রাষ্ট্রদূতের সামনে আমরা আরেকটা প্রস্তাব রেখেছি যে, পরবর্তীতে ট্রেনিং টা আর একটু বৃদ্ধি করা যায় কিনা অর্থাৎ এই প্রক্রিয়া চলমান রাখা যায় কিনা। এছাড়া সেরা মানের একজন কোচ ও প্র্যাকটিস পার্টনার দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। উনি আমাদের জানিয়েছেন, ৪৬ দিনের যে ট্রেনিং ক্যাম্প সেটা শতভাগ নিশ্চিত। বাকি দুটি বিষয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা হতে পারে।