দেশের ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়া লেখকদের সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ)-এর বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হয়েছেন দেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান। জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও ফুটবলার রাকিব হোসেনকে হারিয়ে এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি। অন্যদিকে দর্শকদের ভোটে পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তরুণ ফুটবলার শেখ মোরসালিন।
১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার দুই বছর পর অর্থাৎ ১৯৬৪ সাল থেকে সেরা ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের পুরস্কৃত করে আসছে সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ এপ্রিল ২০২৪, রোববার, জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৩ সালের সেরাদের পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিএসপিএ সভাপতি জনাব রেজওয়ান উজ জামান রাজিব। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব অঞ্জন চৌধুরী।
স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার ইমরানুর রহমান বলেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ। সামনে প্যারিস অলিম্পিকস ও দক্ষিণ এশিয়ান গেমস আছে, সেখানে ভালো কিছু করতে চাই।’
পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড জয়ী শেখ মোরসালিন বলেন, ‘ব্যক্তিগত লক্ষ্য, আপাতত বসুন্ধরা কিংসকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার। জাতীয় দলেও খেলছি। জাতীয় দলকে এগিয়ে নিতে চাই। শান্ত-পিংকি-ইমরানুর---এদেরকে পেছনে ফেলে এটা জেতায় একটু অবাকই হয়েছি। যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ।’
সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বিএসপিএ এই আয়োজন করে যাচ্ছে। এজন্য আমার পক্ষ থেকে বিএসপিএকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের খেলোয়াড়, সংগঠকরা তাদের পরিশ্রম দিয়ে আজকে যে পর্যায়ে এসেছি, তারা ক্রীড়াঙ্গনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’
গেস্ট অব অনার স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে এলে অনেকের সাথে দেখা হয়। এটা ভালো লাগার বিষয়। আমরা ১০ বছর ধরে বিএসপিএর সাথে আছি। যতদিন তারা আমাদের সাথে রাখবে, ততদিন আমরা থাকব। এই পুরস্কার আমার মনে হয় ক্রীড়াবিদদের অনুপ্রাণিত করে। যারা পুরস্কার পেয়েছেন, ধন্যবাদ। যারা পায়নি, মন খারাপের কিছু নেই। তারা যেন এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়, যাতে ভবিষ্যতে ভালো করতে পারে। ’
পুরস্কার পেলেন যারা:
স্পোর্টস পারসন অব দ্য ইয়ার: চ্যাম্পিয়ন- ইমরানুর রহমান (অ্যাথলেটিক্স), রানার্সআপ- নাজমুল হোসেন শান্ত (ক্রিকেট) ও রাকিব হোসেন (ফুটবল)। পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড- শেখ মোরসালিন (ফুটবল), বর্ষসেরা ক্রিকেটার (পুরুষ)- নাজমুল হোসেন শান্ত, বর্ষসেরা ক্রিকেটার (নারী)- ফারজানা হক পিংকি, বর্ষসেরা ফুটবলার- রাকিব হোসেন, বর্ষসেরা অ্যাথলেট (ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড)- ইমরানুর রহমান, বর্ষসেরা বক্সার- সেলিম হোসেন, বর্ষসেরা শুটার- কামরুন নাহার কলি, বর্ষসেরা টেবিল টেনিস খেলোয়াড়- রামহিম লিয়ন বম , উদীয়মান ক্রীড়াবিদ- শেখ মোরসালিন (ফুটবল), বর্ষসেরা দলগত সাফল্য- অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল, সক্রিয় সংস্থা- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বর্ষসেরা কোচ- আলফাজ আহমেদ, তৃণমূলের ক্রীড়াব্যক্তিত্ব- মোয়াজ্জেম হোসেন (ভারোত্তোলন), বর্ষসেরা সংগঠক- হাবিবুর রহমান (কাবাডি) ও বিশেষ সম্মাননা- মনজুর হোসেন মালু।