বিপিএলের অংশ হতে পেরে খুশি ‘মি. ৩৬০ ডিগ্রী’!

ক্রিকেট, খেলা

এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, সিলেট থেকে | 2023-08-25 07:13:18

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের প্রবেশ দ্বারে এলিট ফোর্সের ব্যস্ততায় বোঝা গেলো ভেতরে ভিভিআইপি! এবি ডি ভিলিয়ার্স অনুশীলনে। শনিবার রংপুরের ম্যাচ। পুরো দল অনুশীলনে ব্যস্ত। কিন্তু ফোকাস যে শুধু একজনের ওপর; এবি ডি ভিলিয়ার্স। রংপুর রাইডার্সের জার্সি গায়ে প্রথমবারের মতো নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করলেন ক্রিকেটের মিঃ ৩৬০ ডিগ্রী খ্যাত এই ব্যাটসম্যান। মাঠের যে কোন কোনা দিয়ে, যে কোন উপায়ে বলকে গ্যালারিতে পাঠানোর অনন্য দক্ষতার কারণেই ক্রিকেট প্রেমীরা দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অধিনায়ককে ভালবেসে এই নামে ডাকে। প্রথমবারের মতো বিপিএলে খেলতে আসা ডি ভিলিয়ার্সও তাই শুক্রবারের সকালে নেট অনুশীলনে সাংবাদিকদের কাছে ছিলেন সবচেয়ে বড় ‘খবর’। অনুশীলন শেষে কথা বলার অনুরোধ রাখলেন। সেই আলাপচারিতায় বিপিএলের অভিষেক থেকে শুরু করে ডেভিড ওয়ার্নারের ডানহাতে ব্যাটিং প্রসঙ্গও উঠলো।

কেন বিপিএলে সেই প্রসঙ্গে?
নতুন মৌসুমে আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় মিয়ানসি লিগে খেলছিলাম। নিজেকে ফিট এবং ক্রিকেটে ব্যস্ত রাখতে তো হবে। বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলতে আমি ভালবাসি। আগেও এখানে এসেছি। ক্রিকেট খেলেছি। এবার রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলতে এসেছি। দলটা বেশ ভালো। যদিও এখন পর্যন্ত আমরা সম্ভাবনা অনুযায়ী তেমন খেলতে পারিনি। তবে এখনো অনেক ম্যাচ বাকি আছে। আশায় আছি আমরা ঘুরে দাড়াবো এবং টুর্নামেন্টে ভাল কিছু একটা করতে পারবো।

বিপিএল সম্পর্কে পূর্ব ধারণা প্রসঙ্গে?
বিপিএলের অনেক ভাল কিছু আমি শুনেছি। আইপিএলে খেলার সময় আমি সঙ্গী সাথীদের কাছ থেকে শুনেছি এই টুর্নামেন্টেও মানসম্মত ও ফ্যান্টাসটিক ক্রিকেট হয়ে থাকে। প্রতিবছরই এই টুর্নামেন্টের উত্তরনের মাত্রা বাড়ছে। এই বছর আমি বিপিএলের অংশ হতে পেরে খুবই খুশি।

রংপুর রাইডার্স কেমন দল প্রসঙ্গে?
আমি এখনো তাদের হয়ে কোন ম্যাচ খেলিনি। আশা করছি আগামীকাল, (শনিবার, ১৯ জানুয়ারি) বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবো; যদি একাদশে নির্বাচিত হই! তবে খেলোয়াড়দের নামের দিকেই তাকালেই বোঝা যায় এই দলটা দারুণ। দলের ভারসাম্য বেশ ভালো। জানি যে অতীতে দলটি ভালো সাফল্য পেয়েছে। গ্রুপ পর্যায়ে শেষের ছয় ম্যাচে আমরা যদি বড় রান করতে পারি, তাহলে আশা করছি নকআউট রাউন্ডের টিকিট পাবো।

উইকেট সম্পর্কে কোন আগাম ধারণা প্রসঙ্গে
উইকেট নিয়ে আমি বেশি কিছু ভাবি না। উইকেট যেমনই হোক না কেন, কেমন ব্যাটিং করতে হবে সেই নিয়মটাই ভালো করে জানাটাই হবে আমার আসল কাজ। উইকেট সবসময়ে ভাল থাকে। যদি সেখানে কোন বোলার সামান্য স্পিন পায় তবে আমার মনে কিছু করার নেই। সামান্য টার্নিং উইকেটে ব্যাট করতে আমার ভালোই লাগে। সিলেটের সঙ্গে আমাদের শেষ ম্যাচটা আমি দেখিনি। তবে জেনেছি উইকেট বেশ ভাল ছিলো। আশা করছি পরের ম্যাচেও এমন ভালো উইকেটই হবে।

টুর্নামেন্টে ব্যক্তিগত প্রত্যাশা প্রসঙ্গে
ভালো খেলাটাই আমাকে সবকিছুতে প্রেষণা যোগায়। ক্রিকেটে উত্থান-পতন থাকবে। কারো পক্ষে প্রতি ম্যাচেই পারফর্ম করা সম্ভব নয়। এই খেলাটার বাস্ততবতা সম্পর্কেও আমার ধারণা পরিস্কার। আর তাই নিজের কাছে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশাও করি না। তবে মাঝে মাঝে ব্যাটিংয়ে কিছু আতশবাজির ঝলক আশা করি, বেশ!

ওয়ার্নারের ডান হাতে ব্যাটিং প্রসঙ্গে
দক্ষিণ আফ্রিকায় শেষ যে টুর্নামেন্ট খেলেছি, সেখানে আমি সুইচহিটিংয়ে বেশ কিছু শটস খেলেছি। সুইচ হিটিংটা আমি বেশ ভালোই পারি। এই শটস যে খুবই কম খেলি, তাও কিন্তু নয়। যখন মনে করি সময়টা এসেছে তখনই এই শটস খেলি। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত থাকতে পারেন এই শটস আমার ক্রিকেটের বেসিক কিছু নয়!

এ সম্পর্কিত আরও খবর