সমালোচনার মুখে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের ভেন্যু

ক্রিকেট, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-06-04 19:27:11

নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ড্রপ ইন পিচ নিয়ে শুরু থেকেই চলছিল নানা আলোচনা। এই উইকেটগুলোয় আদৌ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের ম্যাচ আয়োজন করা উচিত কিনা এ বিষয়েও হচ্ছিল নানা সমালোচনা। অবশেষে সে আশঙ্কাই সত্যের দিকে মোড় নিচ্ছে।

সোমবার রাতের শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটা গড়িয়েছে নাসাউয়ের মাঠেই। সে ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ৩৫.৩ ওভারে রান করেছে মোটে ১৫৭, রান রেট মোটে ৪.২৩। ইদানীং টেস্ট ক্রিকেটেও এমন রান রেট দেখা মেলে না যেটা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেখা গেল, তায় আবার বিশ্বকাপের ম্যাচে। এমন মন্থর উইকেট নিয়ে সাবেক ক্রিকেটার, বিশ্লেষকদের তোপের মুখে পড়েছে আইসিসি।

গত রাতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিং ধসের পর ১৯.১ ওভারে মাত্র ৭৭ রান তুলে অলআউট হয় তারা। জবাবে প্রোটিয়াদের ৮০ রান করতেই লেগে যায় ১৬.২ ওভার। ম্যাচের উইকেটটি শুরু থেকেই আশানুরূপ কোনোকিছু দেখাচ্ছিল না। গুড লেন্থে বল ফেললেও অনেক বল লাফিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বাউন্স উঠছিল। যার ফলে রান করাটা দুই পক্ষের জন্যই কঠিন হয়ে দেখা দেয়। 

ম্যাচের আউটফিল্ডও ছিল আদর্শ রূপ থেকে অনেক ধীর। বলের গতি নিজে থেকেই অনেক বেশি কমে যাচ্ছিল। সবচেয়ে বিপদজনক ব্যাপার হলো ফিল্ডিং করতে থাকা খেলোয়াড়রা ডাইভ দেওয়ার সময় হাঁটুও আটকে যাচ্ছিল ঘাসের নিচে থাকা বালিতে। ফলে চোটে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছিল বহুগুণে।

সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি এমন মাঠ দেখে ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই বলেছেন, ‘বাহ! উইকেটটা তো দেখছি বেশ ‘স্পাইসি’!’

মাঠের এমন দশার পরও এখানেই আইসিসি বিশ্বকাপ কেন আয়োজন করছে, এমন সব মাঠে খেলা আদৌ কোনো ছাপ রাখতে পারবে কি না দর্শকদের মনে, তা নিয়ে বেশ সন্দেহ পোষণ করলেন বিশ্লেষক হার্ষা ভোগলে। তিনি বলেন, ‘নতুন দেশে ক্রিকেটের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এটা ভালো বিষয় কি না, সন্দেহ আছে। ড্রপ ইন পিচ বসিয়ে আপনি হয়তো একটা সমাধান করতে চাইবেন, কিন্তু আউটফিল্ডের কী হবে?’

আগামী ৯ জুন এই মাঠেই মুখোমুখি হবে ভারত আর পাকিস্তান। ক্রিকেট দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি যে ম্যাচটি নিয়ে দর্শক ও সমর্থকদের উত্তেজনা-আগ্রহ তুঙ্গে থাকে সেটিই হচ্ছে এই ম্যাচ। সেদিনও যদি এই উইকেটে অনাকাঙ্ক্ষিত এরকম কোনো পরিস্থিতির দেখা মেলে তাহলে আরও সমালোচনা হজম করতে হবে আইসিসিকে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর