ভারত এই টুর্নামেন্টের ফেভারিট। তারা খেলেছেও ফেভারিটের মতো করেই। আয়ারল্যান্ডকে বল হাতে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ৯৬ রানে। সে রান ৪৬ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই তাড়া করে ফেলেছে রোহিত শর্মার দল। তাতে বিশ্বকাপে শুভসূচনাটাও করে ফেলল দলটা।
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে এই নাসাউ কাউন্টিতে খেলেছে ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই ম্যাচ দিয়েই বুঝে গেছে, এখানে পেসাররা পাবেন বাড়তি সাহায্য। উইকেটে সিম মুভমেন্ট থাকবে, সঙ্গে অসমান বাউন্সও। চার পেসার নিয়ে নামতে তাই কোনো দ্বিধা করেনি ভারত। ২০০৭ এর চ্যাম্পিয়নদের জিতিয়েছেনও ওই পেসাররাই।
পঞ্চাশ না পেরোতেই আজ ৭ উইকেট চলে গিয়েছিল আয়ারল্যান্ডের। সবকটা উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন ভারতের চার পেসার আরশদীপ সিং, যশপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া আর মোহাম্মদ সিরাজ।
ভারতের পেসারদের আইরিশরা খেলতে খাবি খাচ্ছিল শুরু থেকেই। শেষ পর্যন্ত সেটা আর সামলাতে পারেনি দলটা। যা একটু খেলেছেন গ্যারেথ ডেলানি, সঙ্গে পেয়েছেন জশ লিটলের সাহায্য। নাহয় আইরিশদের ষাটের ঘরেই অলআউট হতে হতো বৈকি! তবে তাদের প্রতি আক্রমণের পরও অবশ্য আইরিশরা যেতে পারল স্রেফ ৯৬ পর্যন্ত।
ভারত সেটা তাড়া করতে বেগই পায়নি। ২২ রানে বিরাট কোহলি ফেরেন ব্যারি ম্যাকার্থির শিকার হয়ে। এরপর থেকে ইনিংসের সিংহভাগে চলেছে রোহিত শর্মা শো। ৫২ রানের ইনিংসে দলকে একটু একটু করে নিয়ে গেছেন জয়ের কাছে। তবে তিনি শেষ করতে পারেননি ইনিংসটা। কাঁধের চোট নিয়ে ভারতকে দুশ্চিন্তা দিয়ে তিনি মাঠ ছাড়েন দল যখন জয় থেকে ২০ রানের দূরত্বে।
বাকি পথটা ঋষভ পান্ত অনেকটাই নির্বিঘ্নে পার করে আনেন দলকে। ৮ উইকেটের বিশাল জয় দিয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করে ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ১৬ ওভারে ৯৬ (ক্যাম্পার ১২, ডেলানি ২৬, লিটল ১৪, হোয়াইট ১৫*; আরশদীপ ৩৫-২, সিরাজ ১৩-১, বুমরাহ ৬-২, পান্ডিয়া ২৭-৩)
ভারত: ১২.২ ওভারে ৯৭/২ (রোহিত ৫২ আহত অবসর, পান্ত ৩৬*; অ্যাডেয়ার ২৭-১, হোয়াইট ৬-১)
ফল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: যশপ্রীত বুমরাহ