টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন যখন নাজমুল হোসেন শান্ত, তখন ভালো শুরুর কথা বলেছিলেন। তবে শুরুটা এত ভালো হবে, তা কি ভেবেছিলেন তিনি? বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বোলিংটা আজ করেছে তেমনই। দারুণ বোলিংয়ে লঙ্কানদের বেধে রেখেছে ১২৪ রানে। ফলে প্রথম ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের চাই ১২৫ রান।
লঙ্কানদের বিপক্ষে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তৃতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদ উইকেট একটা এনে দিয়েছিলেন বটে, কিন্তু তার পরও শ্রীলঙ্কার রানের গতি যেন কমছিলই না। ওভার প্রতি একাধিক চার বের করে আনছিলেন পাথুম নিসাঙ্কা। পাঁচ ওভার শেষে লঙ্কানদের রান ছিল ৪৮, ১ উইকেট খুইয়ে। রান রেট ছিল ১০ ছুঁইছুঁই।
গ্র্যান্ড প্রেইরির উইকেটটা বেশ ব্যাটিং বান্ধব। বাড়তি পেসটা সামলে নিতে পারলেই তো কেল্লাফতে! সে বিষয়টা মাথায় রাখলে বড় রান হজম করার শঙ্কাটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না আদৌ।
এরপরই ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমান এসে সাফল্য এনে দিলেন দলকে। সেই যে শুরু, এরপর থেকে শ্রীলঙ্কার ওপর চাপ কেবলই বাড়িয়েছে শান্তর দল।
তবে সেটাকে পাথুম নিসাঙ্কা তেমন পাত্তা দিচ্ছিলেন না। একের পর এক চার বের করেই যাচ্ছিলেন। দলীয় ৭০ রানে তাকে ফেরান মুস্তাফিজ। সেখান থেকে লঙ্কানরা খানিকটা সমঝে স্লগ ওভারে যেতে চাইছিল। তা করেও ফেলেছিল লঙ্কানরা। ১৪ ওভার শেষে ১০০ রানে পৌঁছে গিয়েছিল ৩ উইকেটের খরচায়। অমন পরিস্থিতিতে ১৭০ রানকে যে কোনো দলই টার্গেট করার কথা। শ্রীলঙ্কাও হয়তো করছিল।
কিন্তু লঙ্কানদের সে আশাটা ১৫তম ওভারে এসে গুঁড়িয়ে দেন রিশাদ হোসেন। শুরুতে ফেরান সেট ব্যাটার চারিথ আসালঙ্কাকে, পরের বলে ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গাকে ফিরিয়ে জাগান হ্যাটট্রিকের আশাও। সেটা পূরণ হয়নি, তবে লঙ্কানদের আশার ভেলা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় ওই এক ওভারেই।
রিশাদ সেখানেই থামেননি, পরের ওভারে আক্রমণে এসে ফেরান আরেক সেট ব্যাটার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে। বাংলাদেশ আর পেছন ফিরে তাকায়নি একটুও। এরপর মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শেষ ওভারে তানজিম সাকিবও পান উইকেটের দেখা। শ্রীলঙ্কা তাই শেষ ৬ ওভারে মোটে ২৪ রানই তুলতে পারে। ইনিংস শেষ করে ১২৪ রান তুলে।