শুরু দিকে টপ-অর্ডারদের সেই ব্যর্থতার গল্পে ম্যাচটা কঠিন হয়েছিল ঠিকই, তবে ইনিংস মাঝে তাওহিদ হৃদয় ও লিটন দাসের দৃঢ়তায় লঙ্কানদের বিপক্ষে সহজ জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে পিচে থিতু হওয়া এই দুই ব্যাটারসহ সাকিব ফিরলে ম্যাচটা ফের ফসকে যাওয়ার শঙ্কা জাগে। তবে শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে চড়ে ২ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ এবং বিশ্বকাপের আগে নড়বড়ে প্রস্তুতি ছাপিয়ে জয়টা দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
ম্যাচটা কি এতটা কঠিন হওয়ার ছিল? শুরুর দিকে ব্যাটাররা আরেকটু দৃঢ়তা দেখালে হয়তো শেষটায় এতো কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হতো না। লিটনের রানে ফেরা ও তাওহিদ হৃদয়ের ঝোড়ো ইনিংসে ম্যাচ জয়ের কৃতিত্বে একটা অংশের দাবী রাখেই। তাদের সেই কৃতিত্ব দিতে অবশ্য ভোলেননি অধিনায়ক শান্ত। সঙ্গে এটিও বললেন, ম্যাচটি তাদের আরও সহজে জেতা উচিত ছিল।
৩৮ বলে লিটন করেন ৩৬ রান। ধীরগতির ইনিংস হলেও উইকেট সামলে হৃদয়কে লঙ্কান বোলারদের ওপর চড়াও হতে সাহায্য করেছে। হৃদয় করেন ২০ বলে ৪০ রান।
ব্যাট হাতে সবশেষ কয়েক ম্যাচ রীতিমত ভুগছিলেন লিটন। এতে তার এমন ইনিংসটা ধীরগতির হলেও রানের ফেরাটা ছিল জরুরি। সঙ্গে চাপে উইকেট বাঁচিয়ে রাখাটাও দলের জন্য হয়েছে কার্যকরী। ম্যাচশেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটনের প্রসঙ্গ টেনে শান্ত বলেন, ‘লিটনের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ একটা ইনিংস ছিল এটা। সে ধুঁকছিল। কিন্তু সে আজকে তার স্কিল দেখিয়েছে। দারুণ ব্যাট করেছে।’
হৃদয়ের প্রশংসা যেন করতেই হতো শান্তর। ম্যাচটা একাই যেন শেষ করার চিন্তা এঁটেছিলেন তিনি। ১১ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তখন ৭৩ রান। বলে এলেন হাসারাঙ্গা। তাকে তিন বলে তিনটি ছক্কা মেরে স্বাগত জানান হৃদয়। হয়তো আরও দু-একটা ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন। তবে পরের বলেই ফিরলেন লেগ বিফোরের ফাঁদে। উইকেট হারালেও ম্যাচটা তখন অনেকটাই সহজ করে দিয়েছিলেন হৃদয়। তার প্রশংসায় এবার শান্ত বলেন, ‘হৃদয় বেশ সাহসী ব্যাটিং করেছে। যেভাবে সে খেলেছে ওই ওভারটা, তা সত্যিই আমাদের অনেক সাহায্য করেছে।’
হৃদয়-লিটন কাজটা অনেক সহজ করে দিয়েছিলেন। ম্যাচটা তাই আরও আগেই জিততে পারতো বাংলাদেশ। ‘এই ধরনের উইকেটে আরও সহজে জেতা উচিত ছিল আমাদের।’
তবে ব্যাটারের সামনে সহজ এই লক্ষ্যের কারিগর বোলাররা। শুরুটা দারুণ পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে মুস্তাফিজের পেসের পর রিশাদের লেগ স্পিন ঘূর্ণি। সেখানেই দাপট থেমে যায় লঙ্কানদের। এবং তারা থামে স্রেফ ১২৪ রান করে।