বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের সামনে পড়লেই যেন দক্ষিণ আফ্রিকার কী হয়ে যায়।
গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের কথাই ধরুন, ধর্মশালায় ওই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের দেওয়া মামুলি আড়াইশো ছুঁইছুঁই রান তাড়া করতে পারল না দলটা। তার আগের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও পরিস্থিতিটা ছিল তাই, সেটা আবার দলটাকে ছিটকে দিয়েছিল বিশ্বকাপ থেকেই। আজও এমন কিছুর শঙ্কা পেয়ে বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। শেষমেশ তা হলো না ডেভিড মিলারের কল্যাণে। দারুণ এক ফিফটিতে দলকে তিনি এনে দিয়েছেন ৪ উইকেটের রোমাঞ্চকর এক জয়।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মার্কো ইয়ানসেনের তোপের মুখে পড়ে নেদারল্যান্ডস। দশ ওভার শেষে ৩৫ রান তোলে ৪ উইকেট হারিয়ে! সপ্তম উইকেট জুটিতে দলকে পায়ের তলায় মাটি এনে দেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট আর লোগান ফন বিক। দুজনের ৫৪ রানের জুটি প্রোটিয়াদের তিন অঙ্কে নিয়ে যায়। এঙ্গেলব্রেখট ৪০ করে বিদায় নেন শেষ ওভারে। নেদারল্যান্ডস শেষমেশ ১০৩ রান তোলে ৯ উইকেট খুইয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার ওটনেইল বার্টম্যান শেষ ওভারে তিন উইকেট নিয়ে ১১ রানে ৪ উইকেট ঝুলিতে পুরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন, ইয়ানসেন আর আনরিখ নরকিয়ার দুজনেই নেন দুটো করে উইকেট।
জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের প্রথম বলেই একটা ভুল বোঝাবুঝি হলো। কুইন্টন ডি কক রান আউট হলেন কোনো বলের মুখোমুখি না হয়ে! একটু পর রিজা হেন্ড্রিকস আর অধিনায়ক এইডেন মার্করামও বিদায় নিলেন। তার কিছুক্ষণ পরই হাইনরিখ ক্লাসেনের বিদায় দলকে ঘোর বিপদে ফেলে। ১২ রানে যে ৪ উইকেট নেই তখন।
এরপর শুরু মিলার শো’র। ত্রিস্তান স্তাবসের সঙ্গে গড়লেন ৬৫ রানের জুটি। স্তাবস যখন ফিরছেন, তখনও দলটার ২৭ রান চাই, হাতে আর ওভার ছিল মোটে তিনটে; তখন আবারও ডাচরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দারুণ জয়ের। তবে সেটা উবে যেতে সময় নিল না। ৫১ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলা মিলার ম্যাচটা শেষ করে দেন এক ওভার বাকি থাকতেই।