নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে রবিবার রাতে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। পেসারদের নৈপুণ্যে মাত্র ১১৯ রানেই শক্তিশালী ভারতকে থামায় পাকিস্তান। লক্ষ্যটা ছিল মাত্র ১২০ রানের। কিন্তু সেটাও উতরাতে ব্যর্থ হন বাবর আজমরা। ১১৩ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। ফলস্বরূপ ৬ রানের হতাশাজনক হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
এক জাসপ্রিত বুমরাহর বোলিং তোপের কাছেই হেরে যায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের এই হার মেনে নিতে পারেননি সমর্থক এবং দলের ক্রিকেটাররাও। তাই তো কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন পাকিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করা পেসার নাসিম শাহ।
এই হারের মাধ্যমে লজ্জার এক রেকর্ডে নাম লেখাল বাবর-রিজওয়ান-শাহিনরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো এক প্রতিপক্ষের কাছে সবচেয়ে বেশি হারের রেকর্ডটা এখন তাদের নামের পাশে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের কাছে এ নিয়ে মোট ৭ বার হেরেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে টাই হওয়া ম্যাচগুলোও। ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আইসিসির ইভেন্টে মোট ৮টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল, যেখানে পাকিস্তান জিতেছে মাত্র ১টিতে।
নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষ বিবেচনায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার আছে ৬টি করে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৬টি ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তানের কাছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমানসংখ্যক বার হেরেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
পাকিস্তান-ভারতের মতো বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজও ৮টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। ৮ ম্যাচের মধ্যে ২টিতে জিতেছে ক্যারিবীয়ানরা, তবে পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টাইগারদের এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের মঞ্চে কোনো জয় নেই।