যেকোনো বিশ্বকাপ আসরের মতো এবারও ফেভারিটদের তালিকা করলে উপরের দিকেই থাকবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। বরাবরের মতোই এই দলগুলোর সমর্থক সংখ্যা বিশ্বজুড়েই অনেক বেশি। কিন্তু তারাই চলতি আসরে যেন নিষ্প্রভ। আশানুরূপ ফলাফল দেখাতে পারেনি কোনো দলই।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রানার্সআপ দল পাকিস্তান রবিবার রাতে ‘এ’-গ্রুপের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হেরে এখন বেশ বিপাকে পড়েছে। পরপর দুই ম্যাচ হারায় সুপার এইটে জায়গা করে নেওয়াটা এখন খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বাবর আজমের দলের। দুই ম্যাচে তাদের পয়েন্ট শূন্য।
অপরদিকে ‘বি’-গ্রুপে আছে বর্তমান টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে নাস্তানাবুদ হয় জশ বাটলারের দল। ফলে দুই ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট মাত্র ১।
দুই দলই যার যার গ্রুপে বর্তমানে চতুর্থ অবস্থানে আছে। সুপার এইটে যেতে হলে নিজেদের গ্রুপের শীর্ষ দুইয়ে থাকতে হবে দলগুলোকে। ইংল্যান্ড কিংবা পাকিস্তান কারও হাতেই গ্রুপে শীর্ষে যাওয়ার সুযোগ নেই, ফলে দ্বিতীয় স্থানটি দখল করেই তাদের এই রাউন্ড টপকাতে হবে।
পাকিস্তানের পরবর্তী দুই ম্যাচ যথাক্রমে কানাডা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই দুই ম্যাচে জয় তুলে নেওয়া বাদেও তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে আয়ারল্যান্ডের পয়েন্ট এবং নেট রানরেটের দিকে। ভাগ্য সহায় হলেই তারা সুপার এইটে পৌছাতে পারবে।
অপরদিকে ইংল্যান্ডের পরের দুই ম্যাচ ওমান এবং নামিবিয়ার বিপক্ষে। শক্তিমত্তা বিবেচনায় দুই দলের চেয়েই ঢের এগিয়ে আছে ইংলিশরা। ইংল্যান্ড তাদের পরবর্তী দুই ম্যাচে জিতলেও পয়েন্টের দিক থেকে স্কটল্যান্ডকে পেছনে ফেলতে পারবে না কারণ স্কটিশদের পয়েন্ট ইতোমধ্যে তিন ম্যাচ শেষে ৫। আর স্কটল্যান্ড যদি অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে, তবু নেট রান রেটে তাদের এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
অর্থাৎ ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান দুই দলেরই নিজেদের বাকি দুই ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে হবে। তাহলেই কেবল তারা সুপার এইটে যাওয়ার স্বপ্নটা বাস্তবতায় রূপ দিতে পারবে।