দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে ১১৪ রান চাই বাংলাদেশের

ক্রিকেট, খেলা

Apon tariq | 2024-06-10 22:10:29

৪.২ ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা তখন শুরুর ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামলে নিয়েছে। দলকে টেনে তুলেছেন ডেভিড মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেন। পার্ট টাইমার হিসেবে ১১ তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম বলেই তাকে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন মিলার। কিন্তু তার সেই ক্যাচ গ্ল্যাভসবন্ধী করতে পারেননি লিটন। কাঙ্খিত ব্রেক থ্রু পাওয়া হলো না বাংলাদেশের। তখনই বুঝা গিয়েছিল এই জুটি বেশ ভোগাবে বাংলাদেশকে। ম্যাচ থেকেই না ছিটকে দেয় দলকে। শেষ পর্যন্ত সেই শঙ্কা অবশ্য সত্যি হয়নি বোলারদের কারণে। ক্লাসেন-মিলারের ৭৯ রানের জুটির পরও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ।

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের কঠিন উইকেটে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি কক রান তোলায় নেতৃত্ব দেন প্রোটিয়াদের। তবে বাংলাদেশের বোলিং তোপে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা। তানজিম হাসান সাকিবের বোলিং তোপে ২৩ রানেই ৪ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। যার মধ্যে তিনটিই শিকার করেছেন তানজিম সাকিব।

তার বোলিংয়েই শেষ পর্যন্ত ১১ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে ফিরতে হয়েছে ডি কককে। এরপর ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের স্টাম্প ভাঙেন তাসকিন। ৮ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। পরের ওভারে ফের সাকিবের আঘাত। এবার শিকার ট্রিস্তান স্টাবস। ৫ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপযর্য়ে প্রোটিয়ারা।

দলকে টেনে তোলার দায়িত্বটা এদিনও কাঁধে তুলে নেন ডেভিড মিলার। উইকেটে এসে জুটি গড়ে তুলেন হেইনরিখ ক্লাসের সঙ্গে। এই দুই বিধংসী ব্যাটার এদিন ব্যাট চালিয়েছেন অতি সর্তকতার সঙ্গে। প্রোটিয়ারা দলীয় শত রান ছুঁই ১৭ ওভারে এসে। এরপর সেই রানটাকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট পরিণত করার পালা।

আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ৬ ওভারে মোটে ২৪ রান খরচ করা বাংলাদেশ এদিন শেষ ৩ ওভারে কত রানে আটকে রাখতে পারে প্রোটিয়াদের সেটাই ছিল দেখার। কেননা, সেই সংগ্রহের ওপরই যে নির্ভর করছে বাংলাদেশের ম্যাচের ভাগ্য। এদিনও হতাশ করেননি বোলাররা। প্রোটিয়া ব্যাটারদের লাগামটা ঠিকই টেনে ধরে রেখেছিলেন শেষ পর্যন্ত। ১৮ তম ওভার করতে এসে ক্লাসেনকে ফেরান তাসকিন। ফেরার আগে ৪৪ বলে ৪৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। পরের ওভারে রিশাদ এসে ফেরান মিলারকে। ৩৮ বলে ২৯ রান করে দিয়ে যান তিনি। আর তাতে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ঠেকেছে ৬ উইকেটে ১১৩ রানে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর