দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিশ্চিতভাবে হারিয়ে দিবে বাংলাদেশ, এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন বেশিরভাগ দর্শক ও সমর্থকরা। এমনটা ভাবাই তো স্বাভাবিক, কারণ বাংলাদেশ জয়ের জন্য ২০ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১১৪ রান। কিন্তু দেশবাসীকে হতাশ করে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৪ রানের ব্যবধানে হেরেই বসলো টাইগাররা।
ঠিক একই মাঠে আগেরদিন এরকম তীরে এসে তরী ডোবার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছিল পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে ১২০ রান করে জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা। বোলারদের নৈপুণ্য হোক কিংবা উইকেটের দোষ, এত কম রান তাড়া করে জিততে না পারাটাকে ‘ব্যর্থতা’ হিসেবেই বলেছেন বেশিরভাগ ক্রিকেট বিশ্লেষক।
বাংলাদেশের জয়ের পথে মূল বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাওহীদ হৃদয়ের আউট হওয়াটাই। সেখানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে গিয়েছিল বলে মনে করেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার এবং বিশ্লেষক রমিজ রাজা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য আনন্দের এবং বাংলাদেশের জন্য হতাশার মুহূর্ত ছিল হৃদয়ের আউট হয়ে যাওয়া। সে দারুণ ব্যাট করছিল। সে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে। কিন্তু রাবাদার বলে তাকে এমনভাবে তাকে আউট দিয়েছেন আম্পায়ার, যেটি না দিলেও পারত। ওই আউট নাও হতে পারত।’
আউটটা না দিলে আম্পায়ার্স কলের ফাঁদে হৃদয়কে পড়তে হতো না, বাংলাদেশও ম্যাচটা জিতে যেত বলে মনে করেন তিনি, ‘সেটা আউট না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি মনে হচ্ছিল, তবে এই ম্যাচ বাংলাদেশ জিততেও পারত। আর এমন সময়েই রাবাদা একটি দারুণ ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছে। যার ফলে হৃদয় আউট হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা বাংলাদেশের হাত থেকে বেরিয়ে গেছে।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই ফেলেছিলেন, কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। রমিজ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের একটি স্মরণীয় জয়ের জন্য একটি ছক্কা হলেই হতো। কিন্তু দুই ফুট দূরত্বে থেকে রিয়াদ আউট হয়ে গেল। সে যে ধরণের ছক্কা মেরে অভ্যস্ত, তেমন একটি বলও পেয়ে গিয়েছিল। তার আওতায়ও ছিল বলটি, কিন্তু অনেক জোরে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে গেল।’