টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ায় এবারই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সুযোগটি হেলায় হারিয়ে যেতে দেয়নি তারা। বরং গ্রুপপর্বে পাকিস্তানের মতো দলকে হারিয়ে সুপার এইটে পা রেখেছে দলটি। যদিও সেখানে কোনো ম্যাচেই জিততে পারেনি তারা।
তবে সুপার এইটের সুবাদে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে তাদের। যেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই এখন নিজেদের ক্রিকেটকে আরও সমৃদ্ধ করতে চায় দলটি। সুপার এইটের সুবাদে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হওয়ায় সেখানে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে চায় বাকি দলগুলোর জন্য; এমন কথায় জোর গলায় জানিয়েছেন দলটির অলরাউন্ডার হরমিত সিং।
নিজেদের দেশে ক্রিকেট অবকাঠামো উন্নয়নের তাগিদ দিয়ে হরমিত বলেন, ‘আমাদের আরও ভাল অনুশীলনের জন্য, আরও ভাল প্রশিক্ষণের অবকাঠামো দরকার। আমাদের দেশে পুরো ক্রিকেট সিস্টেম দরকার। প্রশিক্ষকদের সারা বছর আমাদের সাথে কাজ করতে সক্ষম হওয়া দরকার, এমনকি দূর থেকেও। আপনি যদি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, সমস্ত গন্তব্য দেখেন, তাদের প্রতিটি রাজ্যে অবিশ্বাস্য ক্রিকেট অবকাঠামো রয়েছে। বাড়ির ভিতরে অনুশীলন করা সাহায্য করে না। আমাদের আরও অনেক আউটডোর সেট-আপ দরকার, ভাল প্রশিক্ষণ সুবিধা দরকার।’
যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট অবকাঠামো বাড়ানোর এটাই সঠিক সময় বলেও মনে করেন হরমিত। বলেন, ‘আমাদের দেশে ক্রিকেটিং সম্প্রদায় বড়, বিশেষ করে টেক্সাসে যেখান থেকে আমি এসেছি, বা নিউ জার্সি ও সিয়াটেলেও একটি বড় ক্রিকেট সম্প্রদায় রয়েছে। পশ্চিম উপকূল, সামগ্রিক ক্যালিফোর্নিয়া এলাকা, সর্বত্রই প্রচুর ক্রিকেট চলছে। এটা ঠিক যে আমাদের সব জায়গায় পর্যাপ্ত টার্ফ অনুশীলনের সুবিধা নেই। আমাদের বাচ্চারা কেবল ঘরের ভিতরে অনুশীলন করছে। আমি অভিভাবকদের জানি যারা তাদের বাচ্চাদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করে, কিন্তু তারপরে সমস্যাটি হল যখন আপনি কেবল বাড়ির ভিতরে করছেন। যা মানসম্মত নয়। এবং তারপরে যখন তারা বাইরে যায়, তখন বাচ্চারা গরম অনুভব করুন ‘ওহ এটা গরম।’ হ্যা, এটা গরমই হওয়ার কথা। কাজেই ক্রিকেট খেলার দেশ গড়তে আমাদের আরও অনেক পরিকাঠামো দরকার।’
নিজেদের পরবর্তী লক্ষ্য নিয়ে হরমিত বলেন, ‘এখানে অনেক কিছু শেখার আছে এবং আমরা যেখান থেকে শুরু করেছিলাম সেখান থেকে সবাই অনেক দূর এগিয়েছে। দলের মধ্যেও অনেক আত্মবিশ্বাস বেড়েছে যে আমরা সেরাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এবং যখন আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলেছি তখন আমরা প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছি। কাজেই শেখার অনেক কিছু আছে। আর আগামীকাল নয়, আমাদের মাথায় এখন ২০২৬ বিশ্বকাপ। সেখানে আমরা কেমন করতে যাচ্ছি তা আমাদের ভাবতে হবে। এবং সেই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের ব্যক্তিগতভাবে কাজ করতে হবে।’