বাংলাদেশের সামনে এখন লক্ষ্যটা ঠিক এমনই। ২০ ওভার হাতে আছে ঠিক। কিন্তু বাংলাদেশকে যদি সেমিফাইনালে যেতে হয়, তাহলে ১১৬ রান তাড়া করতে হবে ১২.১ ওভারে। শুরুতে ব্যাট করা আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ।
টস জিতে আফগানরা শুরুটা করেছিল দেখেশুনে। পাওয়ারপ্লেতে উইকেট দেয়নি বাংলাদেশকে। এরপর দশ ওভার পেরিয়ে গেলেও উইকেটের দেখা পাননি মুস্তাফিজরা। ওদিকে ইবরাহিম জাদরান আর রহমানউল্লাহ গুরবাজ মিলে গড়ে ফেলেন রেকর্ড। ওপেনিং জুটিতে ৫০ রানের বেশি করে ফেলেন এই বিশ্বকাপে চতুর্থ বারের মতো। এমন কিছু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখেনি আর কখনও।
তবে আফগানরা পথ হারায় এরপরই। রিশাদ হোসেনের বলে জাদরান ফেরার পর থেকে রানের গতি কমতে থাকে দলটার। তার চাপটাই পড়ে দলটার ওপর। পরের তিন ওভারে দলটা তুলতে পারে মোটে ৪ রান।
এক ওভারে ১৩ রান তুলে সে শেকলটা ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন গুরবাজ। তবে এরপরই তাকে ফেরান রিশাদ। তার আগে মুস্তাফিজ ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। গুরবাজকে ফেরানোর পর রিশাদ ফেরান গুলবাদিন নাইবকেও। এরপর মোহাম্মদ নবীকে যখন সাজঘরের পথ দেখালেন তাসকিন, তখনও তিন অঙ্ক ছোঁয়নি আফগানরা। ছুঁল ১৮.২ ওভার পর। সেখান থেকে দলটা আর কোনো উইকেট না খুইয়ে ১১৫ রান তুলে ইনিংস শেষ করে রশিদ খানের ১০ বলে ১৯ রানের ইনিংসে ভর করে।