বিসিসিআই আগেই জানিয়ে দিয়েছিল যে বিশ্বকাপের পরেই শেষ হচ্ছে রাহুল দ্রাবিড় অধ্যায়। তার জায়গায় নতুন কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন এমনকি কোচ নিয়োগের জন্য সাক্ষাৎকারও নিতে শুরু করেছে বিসিসিআই। তাই বিশ্বকাপ জিতলেও চাকরি হারাতেই হচ্ছে দ্রাবিড়কে। তবে বিষয়টি জীবনের অংশ হিসেবেই মেনে নিয়েছেন দ্রাবিড়। তার অধীনে দল বিশ্বকাপ জেতাতেই খুশি তিনি।
তার অধীনে ভারতীয় দলের সাফল্য নিয়ে দ্রাবিড় বলেন, ‘দুবছরের একটা যাত্রা শেষ হল এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। একটা ভারসাম্যপূর্ণ দল তৈরি করতে চেয়েছিলাম। খেলোয়াড়দের মধ্যে নির্দিষ্ট মানের দক্ষতা চেয়েছিলাম। প্রয়োজনীয় কিছু ক্রিকেটারকে চেয়েছিলাম। ২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার সময় থেকেই দলে আলোচনা শুরু হয়েছিল, কিভাবে বিশ্বকাপ জেতা যায়। আমরা কিন্তু এই বিশ্বকাপের জন্য পরিশ্রম করিনি। গত দু’বছরের পরিশ্রমের ফল এই ট্রফি।’
দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কখনোই বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পাননি দ্রাবিড়। কোচিংয়ের মাধ্যমে সেই স্বাদ পাওয়ার চেষ্টা করেছেন কিনা; এমন প্রশ্নে দ্রাবিড় বলেন, ‘নিজের সেরাটা দিলেও খেলোয়াড় হিসাবে একটা ট্রফি জেতার সৌভাগ্য আমার হয়নি। আমি ভাগ্যবান এই দলের কোচ হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। একদল দুর্দান্ত ছেলে আমার বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছে। দুর্দান্ত অনুভূতি। তবে আমি কোনও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কাজ করিনি। শুধু নিজের কাজটা করার চেষ্টা করেছি। সত্যি, দুর্দান্ত একটা যাত্রা শেষ হল।’
ভারতীয় দলের সঙ্গে তার দায়িত্ব শেষ হওয়ায় এখন কি করবেন তিনি; এমন প্রশ্নে দ্রাবিড় বলেন, ‘এই জয়ের পর আমি দ্রুতই সামনে এগোব। পরের সপ্তাহ থেকে আমি বেকার (হাসি)। কাজেই আমি খুব সামনের কথা ভাবতে চাই না। তবে আমি আশা করি এগিয়ে যেতে পারব। আর আমি মনে করি এটাই জীবন।’
২০২১ বিশ্বকাপের পর রবি শাস্ত্রীর জায়গায় ভারতের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন দ্রাবিড়। তার অধীনে গত ১২ মাসে তিনটি আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে খেলেছে ভারত। এরমধ্যে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিতেছে ভারত। এর বাইরে তার অধীনে সবশেষ এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। দ্রাবিড়কে তাই ভারতের অন্যতম সফল কোচ বলায় যায়। আর সেই সফল কোচের তকমা নিয়েই ভারতের কোচের দায়িত্ব শেষ হচ্ছে দ্রাবিড়ের।