চেন্নাই টেস্টে বাংলাদেশের ডেসট্রয়ার কে?
যারা ম্যাচ দেখেছেন তাদের উত্তর খুঁজতে খানিকটা দেরি হবে। আর যারা পুরো খেলা দেখেছেন তাদের জন্য উত্তরটা সহজ-রবিচন্দ্রন অশ্বিন। চেন্নাই তার ঘরের মাঠ। এখানে এই মাঠে খেলেই তার বেড়ে উঠা। এই মাঠে আগে সেঞ্চুরি করেছেন। এবারো তাই করলেন। তাও আবার কোন সময়ে? দল যখন চরম বিপদে। ঠিক তখনই আট নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে নেমে হাঁকালেন ১১৩ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। ৮৬ রান করে তাকে ভালোই সঙ্গ দিলেন রবিন্দু জাদেজা। অশ্বিনের সেঞ্চুরি ভারতের স্কোরকে চারশ’র কাছাকাছি পৌছে দিল।
দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিনের ব্যাট করার প্রয়োজন হয়নি। তবে বোলিংয়ে তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে যা করলেন তাতেই নিশ্চিত হলো ভারতের বড় জয়। একে একে তুলে নিলেন বাংলাদেশের ৬ উইকেট। উইকেটে স্পিনের কিছুটা সহায়তা ছিল। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে অশি^ন গুটিয়ে দিলেন বাংলাদেশের ইনিংস মাত্র ২৩৪ রানে।
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট। একই ম্যাচে সেঞ্চুরি এবং পাঁচ বা তারচেয়ে বেশি উইকেটের কৃতিত্ব অর্জন করলেন আরেকবার। এই রেকর্ডে তার সামনে এখন শুধু ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম।
চেন্নাইয়ে চ্যালেঞ্জ জিতে অশ্বিন এখন কানপুরে। এই মাঠ দেখেই তার মন মেজাজ আরো চনমনে হয়ে উঠার কথা। স্পিনারদের মাঠ বলে পরিচিত কানপুরের গ্রিনপার্কে সবচেয়ে কম টেস্ট খেলে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের কৃতিত্ব যে তারই। কানপুরে এখন পর্যন্ত মাত্র ২টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন অশ্বিন। তাতেই শিকার সংখ্যা ১৬টি। অর্থাৎ টেস্ট প্রতি ৮টি উইকেট!
কানপুরের এই দুই টেস্টে অশি^ন করেছেন সবমিলিয়ে ১৩৮.৫ ওভার। মেডেন ছিল ৩৪টি। রান দিয়েছেন ৩৪২। উইকেট ১৬টি। সেরা বোলিং ১৩২ রানে ৬ উইকেট। ইকোনোমি মাত্র ২.৪০। এই রেকর্ডই জানান দিচ্ছে কানপুরে অশ্বিন বল হাতে প্রায় অপ্রতিরোধ্য।
চেন্নাইয়ের পর তাহলে কানপুরেও ‘অশ্বিন চ্যালেঞ্জই’ বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম!
কানপুরের পরিসংখ্যান অবশ্য জানাচ্ছে এখানে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের মালিক পেসার কপিল দেব। ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক এই মাঠে ৭ টেস্টে ২৫ উইকেট পেয়েছেন। এখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ উইকেটের মালিক অনিল কুম্বলে। ভারতের এই লেগস্পিনার মাত্র ৩ ম্যাচে এই উইকেট শিকার করেছেন। আরেক স্পিনার হারভজন সিংও কানপুরের উইকেট দারুণ পছন্দ করতেন। এই মাঠে ৪ টেস্টে তার শিকার সংখ্যা ২০। তবে এখানে মাত্র ২ টেস্টে ১৬ উইকেট শিকার করা অশ্বিন তার আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ পাচ্ছেন ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে। কানপুওে সেদিন থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু।