কানপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার। তার আগে পরিস্থিতিটা সেখানে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য সুখকর ছিল না। স্থানীয় ডানপন্থী দল হিন্দু মহাসভা ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল বনধের। এবার সেখান থেকে এল বাংলাদেশি সমর্থক ‘টাইগার রবি’কে মারধরের খবর।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রসাশন। তাদের দাবি, কোনো মারধর করা হয়নি রবিকে। মূলত পানিশূন্যতার কারণে সেখানে বেহুঁশ হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশি এই সমর্থক।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছিল বাংলাদেশ দলকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। নিরাপত্তা পাচ্ছেন সফররত সাংবাদিকরাও। তবে দর্শকদের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা কী রাখা হয়েছে, তা জানায়নি পুলিশ প্রশাসন।
রবির দাবি, তিনি আজ সকাল থেকেই স্থানীয়দের গালিগালাজের শিকার হয়েছেন। মাঠেও হয়েছেন। তিনি জানান, তিনি মারধরের শিকার হয়েছেন মধ্যাহ্ন বিরতির সময়। তখন তিনি নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের নাম ধরে ডাকছিলেন। এরপরই স্থানীয়রা এসে তাকে ধাক্কাতে শুরু করেন, এরপর তার হাতে থাকা ম্যাসকট ও পতাকা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বাধা দিলে এরপর তাকে মারধর করা হয় বলে জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে হাজির এক পুলিশ অফিসার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, রবি মারধরের শিকার হননি। তার ভাষ্য, ‘সে বেহুঁশ হয়েছে পানিশূন্যতার কারণে। তাকে কেউ মারধর করেনি।’ এরপর পুলিশই তাকে পাঁজাকোলা করে নিয়ে গেছে কাছের এক হাসপাতালে। কানপুরের কল্যাণপুর এলাকার এসিপি অভিষেক পান্ডে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পানিশূন্যতার কারণে তিনি (রবি) পড়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তিনি ভালো অনুভব করছেন। মারামারির অভিযোগটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁকে কোনো সমর্থক আঘাত করেনি।’
যদিও এর আগে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় পুনেতে শোয়েব আলী বুখারী (যিনি টাইগার শোয়েব নামে পরিচিত) ভারতীয় দর্শকদের আক্রোশের শিকার বনে গিয়েছিলেন। তার টাইগার ম্যাসকটও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল সেদিন।