নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের শুরুটা ভালো হলো না। প্রথম ম্যাচেই হেরে গেল নিউজিল্যান্ডের কাছে। শুক্রবার দুবাইয়ে ৫৮ রানে হেরেছে ভারত। নিউজিল্যান্ডের ১৬০/৪-এর জবাবে ভারত আটকে যায় ১০২ রানেই।
তবে ভারতের এই হার ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠছে রানআউট বিতর্ক। নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ১৪তম ওভারে ফিল্ড আম্পায়ারের কিউই ব্যাটার অ্যামেলিয়া কেরকে রান আউট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত চমকে দিয়েছে সবাইকে। এ বিষয়টা নিয়ে জোর আলোচনা তুলেছে ভারত।
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড শুরু থেকে চড়াও হয় ভারতের ওপর। পাওয়ার প্লে থেকে আসে বিনা উইকেটে ৫৫ রান। অষ্টম আর নবম ওভারে দুই ওপেনারকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের রানের গতি কিছুটা কমে।
ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত, নাটকীয় ঘটনা ঘটে ১৪তম ওভারের শেষ বলে। দীপ্তি শর্মার বল লং অফের দিকে ঠেলে এক রান নিয়েছিলেন অ্যামেলিয়া কের। হারমানপ্রীত কর বল আটকান। এরপরে দ্বিতীয় রান নিতে ক্রিজ ছাড়েন কের। হারমানপ্রীত সঙ্গে সঙ্গে উইকেটকিপার রিচার দিকে বল ছুড়ে দেন। রিচা রান আউট করেন কেরকে। কিউই ব্যাটার নিজেকে আউট মনে করে সাজঘরে ফিরতে শুরু করলেও আম্পায়ারেরা ডেকে নেন তাকে। তাদের ভাষ্য ছিল হারমানপ্রীত যখন বল ধরেছেন, ততক্ষণে বলটা ‘ডেড’ হয়ে গিয়েছে। ফলে কের রান আউট হননি। হারমানপ্রীত এই বিষয়ে মোটেও খুশি হতে পারেননি।
তিনি মাঠের দুই আম্পায়ারের সঙ্গে উত্তেজিতভাবে কথা বলেন। এরপর সীমানার কাছাকাছি গিয়ে চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গেও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন। ভারতের কোচ অমল মজুমদারও এসে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। যে কারণে খেলা বন্ধ ছিল ৭ মিনিট ধরে।
তবে শেষ পর্যন্ত অ্যামেলিয়া আউট হন পরের ওভারে। ওপাশে থাকা সোফি ডিভাইন অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। তিনি শেষমেশ করেন ৩৬ বলে ৫৭ রান। নিউজিল্যান্ড তোলে ১৬০ রান।
জবাবে ভারত প্রথম উইকেট হারায় দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই। শেফালি ভার্মাকে হারিয়ে রানের গতি কমে যায় ভারতের। পঞ্চম ওভারে স্মৃতি ও ষষ্ঠ ওভারে হারমানপ্রীতকে খুইয়ে চাপে পড়ে যায় দলটা। সেই চাপ থেকে আর মাথা তুলে দাঁড়ানো হয়নি তাদের।
রানের গতি ক্রমশ কমছিল, চাপ পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল। যার ফলে সাহসী শট খেলতে গিয়ে একের পর এক উইকেট দিতে থাকেন ব্যাটারেরা। ভারত ম্যাচটা হারে ৫৮ রানের বড় ব্যবধানে।
তবে ম্যাচ শেষে রানআউট বিতর্কটা আবারও উস্কে দেন ভারতের ব্যাটার জেমিমা রদ্রিগেজ। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় রানের ব্যাপারে নিউজিল্যান্ড নিশ্চিত ছিল। অ্যামেলিয়া নিজেও তো দৌড়েছে। যার ফলে প্রমাণ হয় ওভার তখনো ডাকা হয়নি, আমরাও তাই ভেবেই রানআউট করতে পেরেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি এবং এটা (রানআউট না দেওয়া) নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু ব্যাপারটা একটু কঠোর হয়ে গেছে। কারণ, অ্যামেলিয়া নিজেই চলে যাচ্ছিল। কারণ, সে জানত সে আউট।’