ফারুক আহমেদ বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার অনেক আগেই বলেছিলেন, বাংলাদেশের কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে তিনি আর দেখতে চান না। বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার দিনও সেই প্রসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, ‘কোচ বিষয়ে আমি আমার আগেই অবস্থানেই আছি। স্ট্যান্স বদল করিনি। তবে সেই সঙ্গে আমাদের বাস্তবতা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। সময় হলে কোচ বিষয়ে আমরা চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।’
ফারুক আহমেদের দায়িত্ব গ্রহণের একমাসের বেশি হয়ে গেল। কিন্তু এখনো কোচ হিসেবে বহাল আছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তাহলে কি কোচকে সরানোর বিষয়ে নিজের পুরোনো অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বিসিবি সভাপতি?
সোমবার বিসিবির বোর্ড সভাশেষে এই প্রশ্ন শুনতে হয়েছে ফারুক আহমেদকে। বিসিবি সভাপতি সেই পুরানো উত্তরই দিলেন। বললেন, ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। এই প্রবাদটা আপাত জাতীয় দলের কোচ প্রসঙ্গে ঠিক চলে না। তবে কোচকে আমরা রাখবো না। কিন্তু এখনো তার ছয়মাস আরো চুক্তি আছে। এখনো আমাদের আরো তিনটি সিরিজ আছে সামনে। আমরা চেষ্টা করছি (কোচ হাতুড়েসিংহে বাদ দেওয়া), পজিটিভ কিছু হয়তো দেখতে পাবেন। আমি যদি ফ্রুটফুল কোনো ফল না পাই, তাহলে হুট করে তো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। তবে এখনো আমাদের চিন্তায় এটা আছে (কোচকে সরানো) এবং মাথায় ও আছে। আগের মতোই বলছি, খুব শিগগিরই ফল দেখতে পাবেন।’
বিসিবি সভাপতির কথায় এটা পরিস্কার যে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিদায় নেওয়ার দিনক্ষণের গণনা শুরু হয়ে গেছে। যথাযথ বিকল্প কোনো কোচ পেলেই সঙ্গে সঙ্গেই হাথুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করবে বিসিবি।
বিসিবির সঙ্গে কোচ হাথুরুসিংহের চুক্তির মেয়াদ হলো সামনের বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। সেই মেয়াদের আগে তার চুক্তি বাতিল করলে তাকে প্রায় দুই কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। মজার তথ্য হলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত হাথুরুসিংহে যদি চাকরিও করেন তাহলে তার পেছনে যে বেতন খরচ হবে তার মূল্যমানও এই দুই কোটি টাকাই! রাখলেও দুই কোটি খরচ। বিদায় করলেও তাই। দেখি বিসিবি কি সিদ্ধান্ত নেয়?