শুরুটা সব নয়। শেষটাই আসল।
দিল্লির টি- টোয়েন্টিতে ম্যাচের প্রথম দশ ওভারের বোলিংয়ে এই শিক্ষাই পেল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে দারুণ শক্তিমান ছিল বাংলাদেশ। শুরুর ছয় ওভারে ভারতের ৪৫ রানে ৩ উইকেট তুলে নেয়। ২৫ রানে ফেরায় দুই ওপেনারকে। আর পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে মুস্তাফিজ তুলে নেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের প্রাইজ উইকেট।
স্কোরবোর্ডে ভারতের রানের স্বাস্থ্য যেন মিস্টার হাল্ক! ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান তুলেছে ভারত। রান পাহাড়ে তারা, কঠিন চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ। জিততে ২২২ রান চাই বাংলাদেশের।
অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম বড় স্কোরের জন্য বিখ্যাত। আইপিএলের শেষ পাঁচ ম্যাচের দশ ইনিংসে দুশোর ওপরে রান উঠে আটবার! এই পরিসংখ্যানই জানান দিচ্ছে দিল্লিতে সিরিজের দ্বিতীয় টি- টোয়েন্টিও বিগ স্কোরের পথেই।
তবে শুরুর ৬ ওভারে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত ঘুরে দাড়ালো খানিকবাদেই। ১০ ওভারে তুলে নিল ১০১ রান। বিয়োগফল জানাচ্ছে, পাওয়ার প্লে’র পরের ৪ ওভারে ভারত তুলল ৫৬ রান। এই পর্যায়ে তিন স্পিনারর বেদম পিটুনি খেলেন। এই মারে সবচেয়ে বেশি আহত হলেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। প্রথম ওভারে রিশাদের খরচা ১১ রান। দ্বিতীয় ওভারে ব্যয় করলেন ২৪। যার মধ্যে ছক্কাই হলো তিন। দুই ওভারে রিশাদের মোট খরচা ৩৫ রান। যাতে ছক্কার মার ৪টি!
নীতিশ রেড্ডি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি- টোয়েন্টিতে হাফসেঞ্চুরির আনন্দে ভাসলেন। ২৭ বলে তার ফিফটি পুরো হলো। অথচ তার ইনিংস শেষ হতে পারতো মাত্র ৩ রানে। উইকেটের পেছনে লিটন দাস যে ক্যাচটা রাখতে পারলেন না। বেচারা বোলার ছিলেন তানজিদ হাসান সাকিব।
শুরুর ছয় ওভারে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারতের ব্যাটিং কিছুটা নিরব থাকলে পরের চিত্র ভিন্ন। দিল্লির অরুণ জেটলি মাঠ ছক্কা-চারের ঝড়ে মাতোয়ারা। রেড্ডি ও রিঙ্কুর মারমার কাটকাট ব্যাটিংয়ে ভারতের স্কোর প্রায় নিশ্চিতভাবে দুশোর দিকে ছুটছিল।
রেড্ডি ও রিঙ্কু মাত্র ৪৫ বলে ১০০ রানের জুটি পুরো করেন। বাউন্ডারির তুলনায় তার ছক্কা হাঁকাতেই বেশি পছন্দ করছিলেন। ৩৪ বলে রেড্ডির ৭৪ রানে ফিরেন শেষমেষ রেড্ডি। যাতে বাউন্ডারি মাত্র ৪টি। আর ছক্কা ৭টি! রিঙ্কু সিং ২৯ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন, তানজিম সাকিব ও মুস্তাফিজ নেন দুটি করে উইকেট। রিশাদ হোসেন নেন ৩ উইকেট।