প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণের গল্প লিখেছে বাংলাদেশ। এবার ব্যাটিংটা পরে করেছিল দল, তবে ২২২ রানের লক্ষ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে অনেক আগেই, ম্যাচটা হেরেছে ৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে।
অথচ দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে পেসাররা পাওয়ারপ্লেতেই তুলে নিয়েছিলেন স্বাগতিকদের ৩ উইকেট। তবে স্পিনারদের ৮ ওভার থেকে বাংলাদেশ দিয়েছে ১১৬ রান। ম্যাচটা কার্যত সেখানেই শেষ।
‘শেষ’ এ কারণে যে, ২২২ রান তাড়া করে জেতার আশা হয়তো দলেও করেননি কেউ। অতীতে এমন কথা শোনা গেছে, কাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা তাসকিন আহমেদের কণ্ঠেও ঝরে পড়ল সেই কথাটা, ‘বড় রান হওয়ায় হেরে গিয়েছি। ১৮০ থেকে ১৯০–এর মধ্যে রাখা গেলেও রান তাড়া সম্ভব ছিল।’
গতকাল মেহেদি হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা মিলে ৮ ওভারে যে ১১৬ রান দিলেন, তারও একটা ব্যাখ্যা আছে তাসকিনের কাছে। তিনি বলেন, ‘দেখুন, পাওয়ারপ্লেতে আমরা ভালো করেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্পিনারদের খারাপ দিন গিয়েছে। শিশির ছিল, বোলারদের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হচ্ছিল।’
অথচ সে একই মাঠে ভারতের চার স্পিনার মিলে ৯ ওভারে দিয়েছেন মোটে ৪৯ রান, তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এখানে অবশ্য স্বাগতিক স্পিনারদের চেয়ে ব্যাটারদের চাপের দায় বেশি দেখছেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘বড় স্কোর হওয়ায় মারতে গিয়ে আমরা দ্রুত উইকেট হারিয়েছি, ছন্দ হারিয়েছি।’
দল যে ভালো ব্যাটিং করেনি, সে বিষয়টা অবশ্য মেনে নিলেন তিনি, ‘আমরা জানতাম, দিল্লির উইকেটে অনেক রান হবে। কিন্তু আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। দুটি ম্যাচেই উইকেট ভালো ছিল। আমরাই ভালো খেলিনি।’