প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান তুলেছিল ৫৫৬ রান। তবে মুলতানের পাটা উইকেট নিয়ে সমালোচনায় মুখর ছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেকরা। সেই উইকেটে দাঁড়িয়ে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ইংল্যান্ড। হ্যারি ব্রুক ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন ওয়ানডে মেজাজে খেলে। তাতেই ইংলিশরা গড়ে ফেলেছে রানের পাহাড়, ৭ উইকেটে ৮২৩ রান তুলে তবেই ইনিংস ঘোষণা করেছে ওলি পোপের দল।
আগের দিনই উইকেটে জমে গিয়েছিল ব্রুকের সঙ্গে জো রুটের জুটি। দুজন মিলে আজ রুটের বিদায়ের আগে ৪৫৪ রান। আর তাতেই বড় লিড পাওয়াটা নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের। তবে দুজনে যেভাবে খেলছিলেন, তাতে আরও বড় বড় কিছু রেকর্ড ভেঙে যাওয়াও খুব সম্ভব মনে হচ্ছিল। দুজনের ব্যাটিং ব্রায়ান লারার ৪০০* রানের রেকর্ড কিংবা কুমার সাঙ্গাকারা আর মাহেলা জয়াবর্ধনের ৬২৪ রানের জুটির রেকর্ডটাগুলোকেও তো রেখেছিল হুমকির মুখে!
তবে শেষমেশ তা আর হয়নি। রুট বিদায় নেন ত্রিপল সেঞ্চুরির আগেই। তবে যা হয়েছে, তাই ইংলিশদের রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। রুট ব্রুকের ৪৫৪রানের জুটিই এখন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ জুটি। তাদের এই জুটি ভেঙে দিয়েছে ১৯৫৭ সালে উইন্ডিজের বিপক্ষে পিটার মে ও কলিন কাউড্রের করা ৪১১ রানের জুটির রেকর্ড।
বিশ্বরেকর্ড একটা হয়েছে। সফরকারী দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটির বিশ্বরেকর্ড। আগের রেকর্ডটা ছিল স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের। বিল পন্সফোর্ডের সঙ্গে মিলে ১৯৩৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভালে ৪৫১ রান তুলেছিলেন তিনি।
রুটের বিদায়ের পরও অবশ্য ব্রুক ছিলেন অটল। নিজস্ব ছন্দে তুলোধুনো করছিলেন পাক বোলারদের। তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি। তার এই মাইলফলক ছুঁতে বল লাগে ৩১০টি। ইংলিশদের মধ্যে এত কম বলে ট্রিপল নেই আর কারো। গোটা বিশ্বেই এর চেয়ে কম বলে ত্রিশতক আছে আর একটা, ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বীরেন্দর শেবাগ ২৭৮ বলে করেছিলেন এই রেকর্ডটা।
দুজনের এমন কীর্তির দিনে ইংল্যান্ড চড়ে বসেছে ৮২৩ রানের পাহাড়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এত রান আর কখনোই হয়নি। এবারই প্রথম হলো। পাকিস্তানের মাটিতেও এত বেশি রান আর কখনো হয়নি। ২০০৯ সালে আলোচিত সেই করাচি টেস্টে পাকিস্তান ৬ উইকেটে ৭৬৫ রান তুলেছিল। আজ ইংল্যান্ড সে রেকর্ডটাকে দুইয়ে ঠেলে দিল।
তাতে প্রথম ইনিংস শেষে ইংল্যান্ড পেল ২৬৭ রানের বিশাল লিড। এমন সব রেকর্ড গড়ার ম্যাচটা থেকে এখন ইনিংস ব্যবধানের জয় তুলে নিয়ে তবেই বেরোতে চাইবে ওলি পোপের দল।