‘রাতে আমি বললাম টস জিতে বোলিং নিতে, অথচ সকালে দেখলাম অধিনায়ক ব্যাটিং নিয়েছে।’
‘ মাহমুদউল্লাহ কেন এত নিচে ব্যাটিং করছে। মেহেদি হাসানকে আরো উপরে ব্যাট করতে পাঠানো উচিত।’
‘ আমি তো মনে করি একাদশে আমাদের স্পিনার বাড়িয়ে দল সাজানো প্রয়োজন।’
উপরে উল্লেখিত এমন হরেক রকম পরামর্শ প্রায়ই দিতেন বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। টস জয় থেকে শুরু করে ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করা, একাদশ সাজানো, ম্যাচ পরিকল্পনা সাজানো-মাঠের ক্রিকেটের জন্য প্রেসক্রিপসন দিতে দারুণ উদারহস্ত ছিলেন তিনি। পাপনের সেই স্টাইল, চিন্তা- চেতনা এবং সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিজ্ঞার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বর্তমান বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ। নিজের সেই ইচ্ছের কথা আরেকবার জানালেন তিনি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীতে কর্পোরেট অ্যামেচার ক্রিকেটের ফাইনালে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ প্রসঙ্গে পুরানো সেই প্রসঙ্গটা উঠলো।
ফারুক বলছিলেন, ‘এটা ঠিক প্রভাব খাটানো কিছু নয়, বলা যায় এটা অভিজ্ঞতা বিনিময়। অধিনায়ক বা এমনকি দলের কোনো সিনিয়র খেলোয়াড়ও কোনো কিছু নিয়ে যদি আলোচনা করতে চায় তাহলে আমি সবসময় সেটাকে স্বাগত জানাই। দেখুন আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় বলেছিলাম, দল নির্বাচন, একাদশ গঠন বা ব্যাটিং অর্ডার এসব বিষয় নিয়ে আমি কোনো কিছু বলবো না। যদিও আমি এসব কাজ বেশ ভালো পারি (ফারুক নিজেও অধিনায়ক ছিলেন, প্রধান নির্বাচক ছিলেন)। আমি মনে করি এখন এসব দায়িত্ব পালনের জন্য যারা আছেন তাদেরই সেই দায়িত্ব পালন করা উচিত। তবে কেউ যদি এসব বিষয়ে আমার বাড়তি পরামর্শ চায় তখন তো আমি সেখানে ইনপুট দিতেই পারি। আমার অধিনায়কত্ব ও সাবেক প্রধান নির্বাচক হিসেবে যে অভিজ্ঞতা ছিল সেই সূত্র থেকে তো কিছুটা ভালো পরামর্শ তো দেওয়া যেতেই পারে। এতে করে যেটা হতে পারে তা হলো চিন্তার জায়গাটা আরেকটু খুলে দেওয়া। দেখা গেল একজন একধনের চিন্তা করছে, হয়তো অন্য জন আরেকটা উপায়ের চিন্তা করছে। এসব বিষয় যখন কোচ, অধিনায়কের সঙ্গে আলাপ করে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তখন একটা ভালো কিছু বেরিয়ে আসার সুযোগ তৈরি হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে সিদ্ধান্ত কিন্তু নেবেন মাঠের অধিনায়ক, কোচ ও খেলোয়াড়রাই। মাঠে তো তারাই খেলেন। মোদ্দা কথা কোনো রকম বুদ্ধি পরামর্শ যদি তারা চায় তাহলে সেটা আমি দিবো। তবে মনে রাখতে হবে ফাইনাল অথারিটি কিন্তু অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্টই। এই পদ্ধতি যাতে দৃঢ় থাকে সেটাই স্থির রাখার চেষ্টা করবো আমি আমার মেয়াদকালে।’