সাদা বলের ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করলেও লাল বলের ক্রিকেটে বিরাট কোহলি অনেক দিন ধরেই ছিলেন বড্ড ম্লান। সবশেষ বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ড সিরিজ মিলিয়ে ১০ ইনিংসে তিনি ফিফটি করেছিলেন মোটে ১টি।
সে দুঃসময়টা প্রথম ইনিংসেও কাটাতে পারেননি। পারলেন এসে দ্বিতীয় ইনিংসে। ১৬ মাস আর ১৫ ইনিংস পর তিনি পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। তাতে ভর করেই রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার সামনে ছুঁড়ে দিয়েছে ৫৩৪ রানের লক্ষ্য, যা তাড়া করতে হলে বিশ্বরেকর্ডই গড়তে হবে স্বাগতিকদের।
মঞ্চটা গড়ে দিয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়ালই। আগের দিন ১৭২ রানে অপরাজিত ছিল ভারতের ওপেনিং জুটি। আজ ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়ে রাহুল বিদায় নিলে ভাঙে তা। এরপর দেবদূত পাড়িক্কালও খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি।
আর তাতেই ডাক পড়ে বিরাট কোহলির। তবে তিনি আসার কিছুক্ষণ পরেই একটা ধস নামতে দেখেন ভারত ইনিংসে। ১৭ বলের এদিক ওদিকে ভারত খোয়ায় ৩ উইকেট।
সে ধসটা কোহলিই সামাল দেন। সাতে নামা ওয়াশিংটন সুন্দরকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ৮৯ রান। এরপর নিতিশ কুমার রেড্ডিকে সঙ্গে করে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
ভারত মোটামুটি নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছে যাওয়ার পর অপেক্ষা ছিল তার সেঞ্চুরির। সেটার জন্য তাকে খেলতে হয়েছে ১৪৪ বল পর্যন্ত। ওদিকে অস্ট্রেলিয়া অদ্ভুত ফিল্ডিং সাজিয়ে অপ্রথাগত কৌশলে তাকে আউট করতে চেয়েছে, তবে কোহলি সেসব ভালোভাবেই সামলে পৌঁছে গেছেন তিন অঙ্কে। নাথান লায়নকে সুইপ করে বাউন্ডারিতে পাঠান বল, তাতেই ৩২তম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান তিনি। ৫৩৩ রানের লিড নিয়ে ভারত সঙ্গে সঙ্গেই ইনিংস ঘোষণা করে দেয়।