চলতি বছরের শেষ অ্যাসাইনমেন্ট সামনে। বাংলাদেশ আগামীকাল বুধবার সকালে মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ডের। এই ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে সুসময় ফেরানোর প্রত্যয় ঝরে পড়ল বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির কণ্ঠে।
২০২৩ সালটা বাংলাদেশের বেশ ভালো কেটেছিল। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো, এরপর পাকিস্তানকে সিরিজ হারানোর কীর্তি ছিল দলের ঝুলিতে।
সে তুলনায় চলতি বছরটা বেশ সাদামাটাভাবেই কেটেছে দলের। বাংলাদেশ চলতি বছরে সব ফরম্যাট মিলিয়ে জিতেছে মোটে ৩ ম্যাচে। তাও সে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি; জয়গুলো এসেছে স্কটল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে।
আর ওয়ানডে ফরম্যাটে এই বছর কেবল তিনটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি ম্যাচেই হেরেছে দল। এরপর এবার বাংলাদেশ খেলবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
এই ম্যাচ দিয়ে, এই সিরিজ দিয়েই ছন্দে ফিরতে চায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক নিগার বললেন, ‘এই সিরিজটাকে বলব, আমাদের দলের জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর জায়গা। যেই জিনিসটা আমরা তৈরি করেছি, ইনশাআল্লাহ্ এই সিরিজেই হতে পারে... আমাদের কাছে অনেক সুযোগ আছে। ভারত-পাকিস্তান সিরিজে যেটা আমরা করেছি, যেন আরও অনেক বেশি মানুষ আগ্রহ দেখায় এবং মিডিয়াও যেন আরও বেশি ফোকাস করে।’
প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডের বেশ শক্তিশালী। চলতি বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে, নিজেদের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় আছে। এমনকি সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডকে হারানোর কীর্তিও আছে।
তবে জ্যোতি জানালেন, বাংলাদেশের কন্ডিশনে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকবে। বললেন, ‘আয়ারল্যান্ড যেসব ম্যাচ জিতেছে, সবগুলো ঘরের মাঠের কন্ডিশনে জিতেছে। এই কন্ডিশনে ওদের তেমন ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। জেতার হার অনেক বেশি কম। ওদের সঙ্গে যতবার খেলেছি, আমাদের জয়ের হার অনেক বেশি। যেহেতু ঘরের মাঠে খেলা, যে কেউ নিজের ঘরের মাঠের কন্ডিশনে বেশিই শক্তিশালী হয়।’
আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৮-এ। ওদিকে আয়ারল্যান্ড আছে ১১তম অবস্থানে। র্যাঙ্কিংয়ের পার্থক্যটা পারফর্ম্যান্স দিয়েও বুঝিয়ে দিতে চান নিগার। বললেন, ‘প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু আমাদের ৬ পয়েন্ট নিতে হবে, খুব গুরুত্বপূর্ণ সিরিজটা। প্রতিটা ম্যাচ মূল্যবান। আমরা চেষ্টা করব দাপট দেখিয়ে খেলতে। আয়ারল্যান্ড আমাদের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে নিচে। যদি আমরা তাদের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে খেলতে না পারি, তাহলে বড় দলগুলোর বিপক্ষে কীভাবে চোখে চোখ রেখে লড়াই করব।’