বল হাতে সুযোগ পেলেই স্পিন জাদুতে মুগ্ধ করেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য শেষ টেস্ট সিরিজে এমনটা ফের দেখা গেল। আবার ব্যাটেও লোয়ার অর্ডারে নেমে অনেক সময়ই উইকেট আকড়ে পড়ে থাকেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার। ধৈর্যের পরীক্ষাটা বেশ ভাল করেই দিতে জানেন তাইজুল ইসলাম। আর এই লড়াই করতে গিয়েই কীনা তিনি পা রাখলেন অনন্য এক উচ্চতায়।
বিস্ময়কর হলেও সত্য ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলিকেও এক জায়গায় পেছনে ফেলেছেন তাইজুল। শুধু কোহলি কেন রবীন্দ্র জাদেজা, রঙ্গনা হেরাথের মতো স্পিনারদেরও টপকে গেলেন।
জ্যামাইকা দ্বিতীয় টেস্টে তাইজুল দুই ইনিংসেই বেশ লড়েছেন ব্যাট হাতে। প্রথম ৬৬ বল ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ বল খেলেছেন তিনি। এ টেস্টে ১১৬ বল খেলে তাইজুল টপকে গেলেন কোহলিকে। চলতি বছর মানে ২০২৪ সালে এই বাংলাদেশি ক্রিকেটার টেস্টে খেলেছেন ৫৪০ বল। অথচ কিংবদন্তি ব্যাটার হয়েও কোহলি এ বছর খেলেছেন মাত্র ৫১৩ বল।
যদিও তাইজুলকে পেছনে ফেলার সুযোগ আছে কোহলির। বাংলাদেশের ২০২৪ সালে আর কোনো টেস্ট নেই। কিন্তু কোহলি এ বছর খেলতে পারবেন তিন টেস্ট। হয়তো অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতেই তাইজুলকে পেছনে ফেলে দেবেন কোহলি।
এমেতে টেস্টে ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি বল খেলেছেন জো রুট। ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার খেলেছেন ২২১২ বল। দুইয়ে থাকা ভারতের যশস্বী জয়সওয়াল খেলেছেন ১৭৬৫ বল।
সদ্য শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে তাইজুল ৭৪ রানে তুলেছেন ৬ উইকেট। এ ইনিংসে ৫ উইকেটও নিয়েছেন। টেস্টে তার অভিষেক থেকে শুরু করে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে ইনিংসে ৫ উইকেট সবচেয়ে বেশিবার নিয়েছেন তিনিই। ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তাইজুলের টেস্টে অভিষেক। এরপর টেস্টে ১৫ বার ইনিংসে ৫ উইকেট তুলেছেন। ১০ বছরের হিসেবে এই তালিকায় যৌথভাবে দুইয়ে রঙ্গনা হেরাথ ও রবীন্দ্র জাদেজা। টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট ১৩ বার করে নিয়েছেন হেরাথ ও জাদেজা।