অস্বস্তি কাটছে না সেই সন্দেহজনক ‘চাকার’দের

ক্রিকেট, খেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 16:58:41

বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ায় বিসিবি বোলিং রিভিউ কমিটির মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা। এরপর দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার কাছ থেকে ছাড়পত্রও মিলেছে। তারপরও স্বস্তিতে নেই সানজিত সাহা-আলিস ইসলামরা। এ মাসে শেষ হওয়া বিপিএলেও সংস্থাটির সন্দেহের তীর তাদের দিকে। 

সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিপাকে সানজিত। মাঠে আম্পায়াররা তার বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক হিসেবে রিপোর্ট করছেন। তিনি রিভিউ কমিটির কাছে পরীক্ষা দিয়েছেন। সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আবারও খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু বারবারই তাকে আটকে দিচ্ছেন আম্পায়াররা।

সেই ২০১৬ সালে যুব বিশ্বকাপে প্রথমবার বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়েছিল সানজিত সাহার। এরপর অ্যাকশন বদলে আইসিসির গবেষণাগারে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি কয়েক মাসের মধ্যেই ফিরেন। কিন্তু কিছুদিন পরই ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে তার অ্যাকশন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে গত দুই বছরে সানজিত দুবার পরীক্ষা দিয়েছেন। বিসিবির বোলিং রিভিউ কমিটির ছাড়পত্রও পেয়েছেন। সবশেষ খেলেছেন বিপিএলে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে খেলেছেন এ স্পিনার। ফের তার বোলিং অ্যাকশনকে ‘সন্দেহজনক’ বলেছেন আম্পায়াররা। আবারও পরীক্ষা দিতে হবে রিভিউ কমিটির কাছে।

সংগত কারণেই হতাশ এই ক্রিকেটার বললেন, ‘আমি বারবার রিভিউ কমিটির কাছে পরীক্ষা দিচ্ছি, ছাড়পত্র পাচ্ছি। কিন্তু ম্যাচ খেলতে গেলেই আম্পায়াররা আপত্তি জানাচ্ছেন। অনেকে বলেছেন রিভিউ কমিটির কাছে আমি যেভাবে পরীক্ষা দিই, ম্যাচে না কি সেভাবে বোলিং করি না। ম্যাচের চাপে অনেক সময় অ্যাকশনে ত্রুটি হয়ে যায়। কিন্তু আমার বোলিং ভিডিও দেখেই তো ছাড়পত্র দিচ্ছে। রিভিউ কমিটির কাছে অ্যাকশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই খেলার অনুমতি পাই। কিন্তু এরপরও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।’

বিসিবির রিভিউ কমিটির ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন ম্যানেজার নাসির উদ্দিন আহমেদ। তিনি অবশ্য জানালেন, ‘আম্পায়াররা যদি সন্দেহজনক মনে করে তাহলে তো কিছু বলার নেই। ও এখানে অ্যাকশন বদলে ছাড়পত্র পায়। আবার ম্যাচে হয়তো কখনো কখনো আগের অ্যাকশনে ফিরে যায়। হতে পারে সেই বলগুলো আম্পায়ারদের সন্দেহজনক মনে হয়।’

প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলার সময় অভিযুক্ত হয়েছিলেন আলিস আল ইসলাম। এরপর খেলার সুযোগ পান বিপিএলে। বিপিএলে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অফ স্পিনার আলিস। এরপরই আম্পায়ারদের রিপোর্ট অনুযায়ী ঢাকার এই বোলারের প্রতিটি ডেলিভারির অ্যাকশনই ছিল সন্দেহজনক।

বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের আলিস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের সানজিতের সঙ্গে রংপুর রাইডার্সের ডানহাতি অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলাম আর সিলেট সিক্সার্সের তৌহিদ হৃদয়ের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছে বিসিবি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর