বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা ছিল ২৯৪ রান। মনে হচ্ছিল লড়াইটা বেশ জমে উঠবে। শুরুতে যেভাবে তাসকিন আহমেদ-তানজিম হাসান সাকিব বল হাতে চেপে ধরেছিলেন, তাতে জয় দেখতে পারতো বাংলাদেশও। কিন্তু সমীকরণ মিলল না মেহেদী হাসান মিরাজদের। ১৪ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে অনায়াসে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
রোববার সেন্ট কিটসে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে উইন্ডিজের জয়ের নায়ক শেরফান রাদারফোর্ড। তার ব্যাটিংয়ে সর্বনাশ বাংলাদেশের। দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে করে ২৯৪ রান। জবাবে নেমে ৪৭.৫ ওভারে বাংলাদেশের রান টপকে গেল উইন্ডিজ। এই জয়ে রেকর্ডও গড়ে স্বাগতিকরা। ওয়ানডেতে সেন্ট কিটসের এই মাঠে এটি সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।
অথচ বাংলাদেশ বড় একটা চ্যালেঞ্জই দিয়েছিল ক্যারিবীয়দের। কিন্তু রাদারফোর্ডের ঝোড়ো ইনিংসেই সবশেষ। এই ব্যাটার ৮০ বলে ১১৩ রানের দানবীয় এক ইনিংস খেলেন। এরমধ্যে দুটি জুটিও গড়েন। যাতে দল এগিয়েছে নিরাপদে। চতুর্থ উইকেটে শাই হোপের সঙ্গে ৯৩ বলে ৯৯ আর পঞ্চম উইকেটে গ্রিভসের সঙ্গে ৫৭ বলে ৯৫ রানের। গ্রিভসের ৩১ বলে ৪১ রান তুলেন।
অধিনায়ক শাই হোপ ৮৮ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলে পথ দেখান দলকে। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট তানজিম, নাহিদ, রিশাদ, মিরাজ ও সৌম্যর।
এর আগে তানজিদ হাসান তামিম, মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ ও মিরাজের অর্ধশতকে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলে ২৯৪ রান। ১০১ বলে ৭৪ রান করেন মিরাজ। ৬০ বলে ৬০ রান করে আউট তানজিদ। ৬টি চার মেরেছেন ও ৩টি দুর্দান্ত ছক্কা। তাতেই ভাঙে তানজিদ-মিরাজের ৯৭ বলে ৭৯ রানের জুটি। শেষদিকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন রিয়াদ ও জাকের আলি। জাকের ৪৮ রানে ফিরে গেলেও রিয়াদ ফিফটি তোলেন।
এই হারে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ। এর আগে টেস্ট সিরিজেও পিছিয়ে পড়ে সমতায় শেষ করেছিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। মঙ্গলবার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কেই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সমতা ফেরানোর সুযোগ পাবে বাংলাদেশ!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৯৪/৬ (মিরাজ ৭৪, তানজিদ ৬০, মাহমুদউল্লাহ ৫০*, জাকের ৪৮, আফিফ ২৮; শেফার্ড ৩/৫১, আলজারি ২/৬৭, সিলস ১/৬৩)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৭.৪ ওভারে ২৯৫/৫ (রাদারফোর্ড ১১৩, হোপ ৮৬, গ্রিভস ৪১*, কার্টি ২১, লুইস ১৬; তানজিম ১/৫৫, নাহিদ ১/৫০, রিশাদ ১/৪৯, মিরাজ ১/৬২, সৌম্য ১/২৪)।
ফল: ৫ উইকেটে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ম্যাচসেরা: শেরফান রাদারফোর্ড।