শেষ দুই ম্যাচের ফলাফল দুই দলের ছিল ১৮০ ডিগ্রি উল্টো। খুলনা টাইগার্স টানা দুই ম্যাচ জিতে হ্যাটট্রিক জয়ের খোঁজে ছিল। অন্য দিকে রাজশাহী ছিল হ্যাটট্রিক হারের দুয়ারে। মাঠের খেলা সে বাস্তবতাটা উলটে দিল। খুলনাকে ২৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে রাজশাহী ফিরল জয়ের ধারায়।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) আগে ব্যাট করে দুর্বার রাজশাহী খুলনাকে ১৭৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতে ১৫০ রানে অলআউট হয় খুলনা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর হয়ে ওপেনিংয়ে শুরুটা ভালো করেছিলেন মোহাম্মদ হারিস এবং জিশান আলম। তাদের ব্যাটে ভর করে দলীয় ৪৪ রান তোলার পর ২০ বলে ২৭ রান করে আউট হন হারিস। এরপর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ব্যর্থ হন, ৭ রান করে আউট হয়ে যান। এসএম মেহরাবও ৫ রানে আউট হন। জিশান আলম ২২ বলে ২৩ রান করেন।
তবে ইয়াসির আলী এবং রায়ান বার্লের ব্যাটিং রাজশাহীকে খেলায় ফিরিয়ে আনে। তাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৮তম ওভারেই স্কোর ১৫০ পার করে। ইয়াসির ২৪ বলে ৪১ রান করেন। শেষদিকে আকবর আলীর ৯ বলে ২১ রান এবং বার্লের ২৯ বলে অপরাজিত ৪৮ রানে রাজশাহী ১৭৮ রানের লড়াকু স্কোর গড়ে।
জবাবে ইনিংসের শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। পঞ্চম বলেই ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন উইলিয়াম বোসিসটো। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। ৭ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হন তিনি। অপর প্রান্ত থেকে রান তোলার চেষ্টা করেন ওপেনার নাঈম শেখ। তবে ২৪ বলে ২৬ রান করে তিনিও আউট হন।
এরপর আফিফ হোসেন এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। আফিফ ৩০ বলে ৩৩ এবং অঙ্কন ১১ বলে ১৮ রান করেন। পরবর্তীতে ইমরুল কায়েস এসে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করলেও ৬ বলে ১৭ রান করে আউট হন। আবু হায়দার ৪ বলে ৪ রান করে তার সঙ্গ দেন। দলীয় ১১২ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে খুলনা।
শেষ দিকে মোহাম্মদ নাওয়াজ (৯), নাসুম আহমেদ (১৮) এবং সালমান ইরশাদ (৫) আউট হলে ১৫০ রানেই থামে খুলনার ইনিংস। দুর্বার রাজশাহী ২৮ রানের দারুণ জয় তুলে নেয়।
রাজশাহীর হয়ে বল হাতে দারুণ পারফর্ম করেন তাসকিন আহমেদ, সোহাগ গাজী এবং রায়ান বার্ল। তারা প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট শিকার করেন। জিশান আলম, এসএম মেহরাব এবং মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নেন একটি করে উইকেট।
এটি খুলনার প্রথম হার এবং রাজশাহীর দ্বিতীয় জয়। পাঁচ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে রাজশাহী এখন পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে।