সিরিজের নিষ্পত্তি প্রথম দুই ম্যাচেই হয়ে গিয়েছিল। নিউজিল্যান্ড আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছিল সিরিজটা। তবে শ্রীলঙ্কার জন্য শেষ ম্যাচটা ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়া নিউজিল্যান্ড পথ হারিয়েছে তৃতীয় ম্যাচে এসে। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে আজ সিরিজের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হেরেছে ১৪০ রানে। এ ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো লঙ্কানরা।
এই ম্যাচে দুই অঙ্কে অলআউটের লজ্জাতেই পড়তে পারতো স্বাগতিকরাও। ২৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২১ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন ৫ ব্যাটার। ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার কাছে কিউইদের সবচেয়ে বেশি রানে হারের রেকর্ড হবে কি না তা নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। তবে মার্ক চ্যাপম্যানের কল্যাণে এ যাত্রায় লজ্জা এড়িয়েছে তারা। নিউজিল্যান্ডের ১৫০ রানের মধ্যে একাই ৮১ করেছেন তিনে নামা এই ব্যাটার।
শ্রীলঙ্কার কাছে এর চেয়ে বেশি ব্যবধানে মাত্র একবারই হেরেছে দলটি। ২০০৭ সালে এই অকল্যান্ডেই সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ১৮৯ রানে হেরেছিল কিউইরা।
এদিন টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কার ঝোড়ো ৬৬ ও কুশল মেন্ডিসের ৫৪ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ২৯০ রানের পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা। কিউইদের হয়ে ম্যাট হেনরি নেন ৪ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে নিউজিল্যান্ডের টপ-অর্ডার। একমাত্র চ্যাপম্যান ছাড়া আর সবাই ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। আর তাতেই মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস।
শ্রীলঙ্কার তিন বোলার আসিতা ফার্নান্ডো, মহীশ তিকশানা ও ঈশান মালিঙ্গা ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ৫ উইকেটের ৩টিই তুলে নেওয়া পেসার আসিতার হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। তবে সিরিজ সেরা হয়েছেন কিউই পেসার ম্যাট হেনরি।