গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণকে। শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে তাকে মতিঝিল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। দুপুরেই তাকে আদালতে নেয়া হয়। বিজ্ঞ আদালত জামিন বাতিল করে মাহফুজা আক্তার কিরণকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ফুটবল সংগঠক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স। মোহামেডান, শেখ জামাল ও বাড্ডা জাগরণী ক্লাবের এই ফুটবল সংগঠকের মামলার প্রেক্ষিতে (মামলা নং ৫৮৫/২০১৯) আদালত বাফুফে সদস্য কিরণের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
তার প্রেক্ষিতেই মতিঝিল থানা পুলিশ শনিবার সকালে ধানমন্ডির কেয়ারি প্লাজা থেকে মাহফুজা আক্তার কিরণকে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান করেন। কিরণের আইনজীবী আদালতের কাছে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত অভিযোগ এবং মামলার কাগজপত্র পরীক্ষা শেষে জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।
আবু হাসান প্রিন্সের এই মামলা দায়েরের পর কিরণকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ১৪ মার্চ চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশে কিরণের অতিসত্বর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তোলেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসেসিয়েশনের মহাসচিব তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসসহ আরো অনেকে।
প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার সাহস কিরণ কোথায় এবং কাদের আসকারায় পেলেন সেই প্রশ্ন তোলেন ফুটবল সংগঠকরা। এই বিষয়ে বাফুফের রহস্যজনক নীরব থাকার ভুমিকারও তারা কঠোর সমালোচনা করেন। চারধারের ক্রমাগত চাপের কারণে বাফুফে কিরণের বিরুদ্ধে উঠে আসা অভিযোগের তদন্ত করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে। এই তদন্ত কমিটিকে লোক দেখানো এবং সময় ক্ষেপণের কৌশল বলে অ্যাখায়িত করেন ফুটবল সংগঠকরা।