ক্যানসার কেড়ে নিলো ক্রিকেটার ব্রুস ইয়ার্ডলেকে

ক্রিকেট, খেলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 11:02:57

চলে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ব্রুস ইয়ার্ডলে। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছিলেন। সেই লড়াইয়ে হেরে গেলেন ব্রুস ২৭ মার্চ, বুধবার। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিলো ৭১।

একাধারে অনেককিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে ছিলেন তিনি। ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। আর্ন্তজাতিক ধারাভাষ্যকার হিসেবেও ভাল সুনাম কুড়ান। কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর নতুন লড়াই শুরু হয় তার। লম্বা সময় ধরে চলা সেই লড়াইয়ে হার মানলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের অনেক ইতিহাসের সঙ্গী এই ক্রিকেটার।

ক্রিকেট জীবনের শুরুর গল্পটা তার আরো অনেকের সঙ্গে মিলে যায়। ছিলেন মূলত সুইং ও সিম বোলার। যে উচ্চতা ও শারীরিক গঠন ছিলো তার, তাতে পেস বোলিংয়ে বেশ ভালই মানাতো। কিন্তু হঠাৎ করে পেস বোলার থেকে স্পিনার হয়ে গেলেন ব্রুস ইয়ার্ডলে।

প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া দলে সুযোগ পেলেন ১৯৭৭-৭৮ সালে। অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। অভিষেক টেস্টে ৪৮ রান খরচায় পান ৪ উইকেট। ৩৩ টেস্ট ক্যারিয়ারে উইকেট শিকার করেন ১২৬টি। সেরা বোলিং ৯৮ রানে ৭ উইকেট। শুধু বোলিং নয়, ব্যাটিংটাও বেশ ভালই জানতে ব্রুস। টেস্টে তার চারটি হাফসেঞ্চুরি আছে। এরমধ্যে ১৯৭৮ সালে বার্বাডোস টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার দ্রুততম (২৯ বলে) হাফসেঞ্চুরির অস্ট্রেলীয় রেকর্ড টিকে ছিলো প্রায় ৩৮ বছর। ডেডিভ ওয়ার্নার ২০১৭ সালে সেই রেকর্ড ভাঙ্গেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে সেই সফরে অবশ্য চাকিং বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েন ব্রুস ইয়ার্ডলে। জ্যামাইকায় ট্যুর ম্যাচে বল চাকিং বিতর্কে তার নাম জড়িয়ে পড়েছিলো। পুরানো বলে অফস্পিন করাতে বেশ দক্ষ ছিলেন ইয়ার্ডলে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার নাম্বার ওয়ান স্পিনার হিসেবে স্বীকৃতি পান তিনি।

১৯৮১-৮২ সালের মৌসুমে ঘরের মাটিতে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৮টি উইকেট শিকার করে আলোচনায় আসেন ইয়ার্ডলে। সেসময় বোলিং আক্রমণে অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলাররাই মুলত নজর কাড়তেন বেশি। ১৯৮৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টে ৭ উইকেট পেলেও নির্বাচকরা তাকে পরের সিরিজে উপেক্ষা করেন। সম্ভবত সেই অভিমান থেকেই ১৯৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে ফেলেন ব্রুস ইয়ার্ডলে। তবে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ঠিকই খেলে যান।

কোচিংয়েও বেশ ভাল পারফরমেন্স দেখান তিনি। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। টেস্টে সবচেয়ে বেশি ৮০০ উইকেট শিকারি শ্রীলঙ্কার স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরনের স্পিন কোচ এবং মেন্টর হিসেবেও কাজ করেন তিনি।

৭টি ওয়ানডে ম্যাচও খেলেছিলেন ব্রুস ইয়ার্ডলে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর