‘পঞ্চপান্ডব প্রস্তুত, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ বিপদজনক দল’!

ক্রিকেট, খেলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 23:11:12

বাংলাদেশ দলের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের মতো শক্তিশালী যে দলকে বাংলাদেশ হারিয়েছিলো ২০০৭ সালে, সেই দলের সদস্য ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। সেই ম্যাচে তার স্পিনেই আউট হয়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার ও যুবরাজ সিং। এবারের বিশ্বকাপেও আছেন রাজ্জাক। তবে খেলোয়াড় হিসেবে নয়, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালন করছেন। আইসিসির হয়ে বিশ্বকাপের বিভিন্ন ভেন্যুতে ঘুরবেন, ক্রিকেট সেমিনারে অংশ নেবেন। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে ‘লড়বেন’ মাঠের বাইরের অন্য এক লড়াইয়ে। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে রাজ্জাক যা বলেছেন বার্তা২৪.কমের পাঠকদের জন্য তারই অংশ বিশেষ এখানে-

বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাংলাদেশের জন্য সবসময় বড় আসর। আর এই বড় আসরে আমরা বড় পারফরমেন্সই দেখাই সাধারণত!

১৯৯৯ সালে পাকিস্তানকে হারাই। সেটা ছিলো আমাদের অভিষেক বিশ্বকাপ। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের প্রথম পর্বেই আমরা জিতলাম ভারতের বিপক্ষে। তারপর সুপার এইটে হারালাম দক্ষিণ আফ্রিকাকে । আর পেছনের দুটিা বিশ্বকাপের আসরে দু’বারই বাংলাদেশ হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। বিশ্বকাপের মাঠের এসব সুখস্মৃতি আমাদের সবসময় মনে থাকবে। জয়ী এই ম্যাচগুলো থেকেই আমরা আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাই। সমর্থকরা আনন্দ পায়।

ফিরি এবারের বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে।  দেখুন বিশ্বকাপের মতো আসরে কোন দল ভালো করবে, কোন দল করবে না- সেই বিষয়ে সত্যিকার অর্থেই আগাম কিছু বলা কঠিন। তবে আমি নিশ্চিত এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো পারফর্ম করবে। বাংলাদেশকে এই বিশ্বকাপে খাটো করে দেখার কিছু নেই। তারা ভালো খেলবে।

সবাই সেমিফাইনালের ফেভারিট দল হিসেবে ইংল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কথা বলছে। তবে আমার মনে হয় বাংলাদেশও  সেমিফাইনালে খেলতে পারে। আমরা তো ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছিলাম। আমার মতামত হলো, এই বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ সেটা করে দেখাতে পারে।

স্টিভ রোডসকে আমাদের কোচ হিসেবে পাওয়াটা আমাদের জন্য বেশ ভালো হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিভিন্ন মাঠ, এখানকার উইকেট ও কন্ডিশন সম্পর্কে তার বেশ ভালো ধারণা আছে। কোচ স্টিভ বেশ ভালো মানুষ। দলের কাছে তিনি কি চান সেটা বেশ স্পষ্ঠ করে পুরো দলকে জানাতে পারছেন তিনি।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে তিনজাতি ওয়ানডে টুর্নামেন্টের ট্রফি জয়টা আমাদের দলের আত্মবিশ্বাসকে অনেক চাঙ্গা রাখতে পেরেছে। এই দলের বড় শক্তি হলো পঞ্চপান্ডব-মুশফিক, সাকিব, মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ইকবাল। লম্বা সময় ধরে এই পাঁচ সিনিয়র একসঙ্গে খেলছে। দলের নতুন এবং তরুণ খেলোয়াড়দের কাছ থেকেও কিভাবে সেরা খেলাটা বের করে নিয়ে আসা যায়-সেই দক্ষতাও বেশ ভালো দেখাচ্ছেন এই পাঁচ সিনিয়র। এই পাঁচের অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক বড় সম্পদ। বিশ্বকাপের মঞ্চে আরেকবার নিজেদের মেলে ধরতে প্রস্তুত এই পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার।

আলাদা করে যদি দলের কারোর কথা বলতে হয় তবে আমি মোসাদ্দেক হোসেনের নামটা বলবো। তার খেলা আমাকে খুবই উজ্জ্বীবিত করে। ব্যাটে-বলে সে নিজেকে আয়ারল্যান্ড সফরে প্রমান করতে পেরেছে। লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিংয়ে দলের জন্য তার ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ইংল্যান্ডকে আমরা ২০১১ এবং ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে হারিয়েছি। তবে এবারের বিশ্বকাপের প্রায় সবকিছুই ইংল্যান্ডের পক্ষে আছে। নিজ মাঠে খেলা। পরিচিত কন্ডিশন। ফর্মও তাদের বেশ ভালো। টুর্নামেন্টেও তারা ফেভারিট। ইংল্যান্ডকে যদি এবারো বাংলাদেশ হারাতে পারে তবে সেটা হবে আমাদের সবচেয়ে বড় জয়।

আমি সেই উৎসবের অপেক্ষায়!

এ সম্পর্কিত আরও খবর