বাউন্সার আসছে, প্রস্তুত বাংলাদেশও

ক্রিকেট, খেলা

এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, লন্ডন থেকে | 2023-08-27 16:17:21

দৃশ্যটা সকালবেলার।

ওভালে দলের অনুশীলনে ছিলেন ডেল স্টেইন। বোলিং করলেন বেশ অনেকক্ষণ ধরে। অবশ্য দৌড় বা বোলিংয়ে সেই তেড়ে ফুঁড়ে চলার মেজাজ নেই। এখনো ইনজুরি থেকে পুরোপুরি মুক্তি মেলেনি তার। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচেও খেলছেন না স্টেইন। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত স্টেইন না খেললেও আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দক্ষিণ আফ্রিকার প্রচুর যে ডেলিভারি মোকাবেলা করতে হবে তার নাম-শর্ট বল, বাউন্সার!

এই দৃশ্যটা বিকালবেলার।

ওভালের দুইপাশের নেটে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুনকে ব্যাটিং অনুশীলনের সেই সেশনে একের পর এক শর্ট বল দেয়া হচ্ছে। সেই বাউন্সারকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে হুক ও পুল শট খেলছেন ব্যাটসম্যানরা। মাঠের আরেক কোনার নেটে ব্যাট হাতে মুশফিক রহিম একা। নেট ঝুলিয়ে টানা হুক শট হাঁকাচ্ছেন মুশফিক।

আজকের ম্যাচে যে এমন প্রচুর বাউন্সার উড়ে আসবে। সেই ডেলিভারি মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আগাম প্রস্তুতি। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শক্তিমত্তা যেমন জানে দক্ষিণ আফ্রিকা, ঠিক তেমনই দূর্বলতা বেশ জানা তাদের। বিশ্বকাপের আজকের ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য তাই ‘বাউন্সার’ এর ঝড় তোলার অপেক্ষায় দ. আফ্রিকা। নিশ্চিতভাবেই ব্যাটসম্যানদের পাঁজর লক্ষ্য করেই বোলিংয়ের পরিকল্পনা করছে প্রোটিয়ে বোলাররা।

অধিনায়ক মাশরাফিও জানেন এমন কায়দার বোলিংই করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বলছেন-‘খুবই স্বাভাবিক বিষয় যে ওরা বাউন্সার বা শর্ট বল করবেই। আর সেইধরনের বল মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতির বিষয়টা আসলে একেক জনের একেক রকম। ব্যাটসম্যানরা সেটা মোকাবেলা করার জন্যও প্রস্তুত আছে। আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি ক্রিকেটেও আমাদেরকে এমনভাবেই টার্গেট করা হয়েছিলো। কিন্তু আমরা সেখানে তখন সফল হয়েছিলাম। এখানেও তেমনকিছুই ফাঁদ তৈরি করা হচ্ছে আমাদের জন্য। তবে সেই কৌশল মোকাবেলার জন্য আমার ব্যাটসম্যানরা প্রস্তুত। কিন্তু তারা যে সফল হবেই-এমন কোনো গ্যারান্টি দিতে আমি রাজি নই। এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিপক্ষে লড়তে বেশ আত্মবিশ্বাসী এবং বেশ ভালো প্রস্তুতি তাদের আছে।’

নিজেদের ম্যাচ পরিকল্পনায় অটুট এবং স্থির থাকার ওপর জোর দিচ্ছেন অধিনায়ক-‘নতুন কিছু করার দরকার নেই। আমাদের যে শক্তি, যে সামর্থ্য আছে সেটা নিয়েই লড়তে হবে। আমরা যা পারি সেটাই করে দেখাতে হবে।’

প্রতিপক্ষ যখন দক্ষিণ আফ্রিকা তখন করে দেখানোর সেই লড়াইয়ে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে এই দক্ষিণ আফ্রিকাই। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেদফায় বিশ্বকে আরেকবার চমকে দিয়েছিলো বাংলাদেশ।

তবে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা যে বাংলাদেশের শুধু অনুপ্রেরণা নয়, দুঃস্বপ্নের কারণও বটে! বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ম রান হলো ৭৮। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে সেই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

৮ বছর পুরানো সেই হিসেবের একটা বদলা নেয়ার বিষয়ও থাকছে বাংলাদেশের আজকের ম্যাচ এজেন্ডায়!

এ সম্পর্কিত আরও খবর