শুরুর ১০ ওভারে কোনো ক্ষতি ছাড়া ৪৭।
ওয়ানডে ক্রিকেটে খুব বিশাল কিছু নয়। কিন্তু পরের ছয় ওভারে ইংল্যান্ড যা করলো তাতেই হিসেব পরিস্কার-বিশাল রানের দিকেই ছুটছে ইংল্যান্ড। মাত্র ১৫.৩ ওভারেই ইংল্যান্ডের স্কোরকার্ডে জমা ১০০ রান।
এই রিপোর্ট লেখার সময় ইংল্যান্ডের স্কোর ছিলো ২৩.৩ ওভারে ১ উইকেটে ১৬৭ রান। দুই ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টো তখন সেঞ্চুরির কাছে দাড়িয়ে। বেয়ারস্টো খেলছিলেন ৯১ বলে অপরাজিত ৮৯ রান নিয়ে। রয় ফিরে গেছেন ৬৬ রানে।
শুরুর ২২ ওভারে দুই ওপেনার সবমিলিয়ে বাউন্ডারি হাঁকানা ১৪টি। ছক্কা ৮টি! ভারতীয় বোলিংয়ের সুতো খুলে ফেলা ব্যাটিং আর কি!
দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো এক অর্থে টি-টুয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালান। উইকেটে জমে যাওয়ার পর দুজনেই ব্যাট হাতে দুর্বার। বিশেষ করে ভারতের দুই স্পিনার যুগবেন্দ্র চাহাল ও কুলদ্বীপ যাদবের ওপর ‘রাগটা’ একটু বেশিই ঝাড়েন দুই ইংলিশ ওপেনার।
মারের চোটে বোলিংয়ে কাকে আনবেন- সেই দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি! চাহাল তার প্রথম ৬ ওভারে কোনো সাফল্য ছাড়া খরচ করেন ৫১ রান। কুলদ্বীপ ইংল্যান্ড ওপেনারদের ব্যাটিং আক্রমণের মুখে বেচারা বোলার! শুরুর তিন ওভারে তার খরচা ৩৬ রান!
পেসার হারদিক পান্ডিয়ারও শুরুর স্পেল ব্যয়বহুল। ২ ওভারে ২১ রান। এই ম্যাচের আগে বেয়ারস্টোর ব্যাটিং ফর্ম তেমন ভালো যাচ্ছিলো না। আশপাশ থেকে উড়ে আসা সমালোচনা শুনতে হচ্ছিলো তাকেও। তবে এজবাস্টনে যে কায়দায় সব সমালোচনার জবাব দিলেন বেয়ারস্টো ব্যাট হাতে, তাতে সব হিসেব বরাবর! ৫৬ বলে হাফসেঞ্চুরি পান তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি ইংলিশ উইকেটকিপারের ১২ নম্বর হাফসেঞ্চুরি।
ইনজুরির কারণে জ্যাসন রয় ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি ম্যাচ মিস করেছিলেন। সেই ম্যাচগুলোতে হারে ইংল্যান্ড। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেই জ্যাসন জানিয়ে দিলেন দলে তার উপযোগিতা এবং প্রয়োজনীয়তা। ৪১ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় জ্যাসন রয় তার ক্যারিয়ারের ১৬ নম্বর হাফসেঞ্চুরি করেন।
দুই ওপেনার যেভাবে খেলছিলেন তাতে নিশ্চিতভাবেই সেঞ্চুরিটা তাদের পাওনা ছিলো। আর এজবাস্টনের এই ম্যাচে ইংল্যান্ড সাড়ে তিনশ বা চারশ রানের কাছাকাছি যাওয়ার অর্ধেক কাজটুকু প্রায় সম্পন্ন করে ফেললো!